ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু তান্ডবে এখনো ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি, দুর্ভোগ চরমে

‍ুুুুুুএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আতংক থেকে জনগন মুক্তি পেলেও এখনো অন্তত ১০হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের পানি বের না হওয়ায় গত তিনদিন ধরে এসব মানুষ সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্নস্থানে আশ্রয়ে রয়েছে। এছাড়া উপকুলীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ বেড়িবাঁধ ও গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ঘুর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ধমকা হাওয়ায় ও গাছ পড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২শত কাঁচা ঘরবাড়ি সর্ম্পুণ ও ৭হাজার ১’শ টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নীচে কিংবা আশ্রয়ন কেন্দ্রে চরম কষ্টে জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ্য সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ সোমবার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ অনেক পরিবারকে সাহায্য করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সাহার্য্য পেতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.আহাসান উল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার পর্যন্ত ৮ মেট্রিক টন চাউল ও ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার কিছু কিছু এলাকা ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার একটি তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আংশিক তথ্যে বেশি ক্ষতি দেখানো হয়েছে মৎস্য খাতে।
তিনি আরো বলেন,ঘূর্ণিঝড়ে চকরিয়া উপজেলার ৭হাজার ১’শ টি বসতঘর আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ২.৬২ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা ও ৬.৫০ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ২.৫৯৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৮৬.২০ হেক্টর সম্পূর্ণ ও ১.৩৫ হেক্টও আংশিক ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকদেও ক্ষতি হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৫’শ টাকার। এছাড়া ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসাব নিরুপন করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: