ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ ১ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

চকরিয়া পৌর নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। করোনার কারণে নির্বাচনের তারিখ সাময়িক স্থগিত করলেও প্রচারণা থামছে না। মানছে না স্বাস্থ্যবিধিও।

নিজেদের মতো লোকজন সমাগম করে প্রতিদিন নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণসংযোগ ও সভা সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন অধিকাংশ প্রার্থী।
আগামী ১১ এপ্রিল চকরিয়া পৌরসভাসহ সারাদেশের ১১টি পৌরসভা ও ৩৭১টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সোমবার করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত তারিখের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এদিন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর প্রচার হতে থাকলে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও সভা সমাবেশে স্থবিরতা চলে আসে।
এসময় নেমে আসে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের মনে হতাশা। তবে আজ ১ এপ্রিল এ সংক্রান্তে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বৈঠকের পরই নির্বাচনী চুড়ান্ত তারিখ জানা যাবে।

এদিকে করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরও থেমে নেই প্রার্থীদের প্রচারণা। তারাও নিয়মিত গণসংযোগ ও সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন।  গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন চার মেয়র প্রার্থী ও ৫৩ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। অনেকেই সভা-সমাবেশও করেছেন।
একইদিনে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর সমর্থনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোয়ার আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট ফয়সাল উদ্দিন ছিদ্দিকী ও জিয়াবুল হকও পথসভা ও গণসংযোগ করেছেন। নিবার্চন কমিশন করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত করলেও চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে সেই প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও।
আওয়ামী লীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে জেনেছি, তবে বন্ধ হয়নি। সেই হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমি গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট ফয়সাল উদ্দিন ছিদ্দিকী (কম্পিউটার প্রতীক) বলেন, করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করলেও আজকালের মধ্যে চুড়ান্ত তারিখ জানা যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারের কাছে যাওয়ার কথা জানান তিনি। উল্লেখ্য, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৯ ওয়ার্ডে ১৮টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ৬ শত ৪। এরমধ্যে ২৭ হাজার ১ শত ১৪ পুরুষ ভোটার ও ২৩ হাজার ৪ শত ৯০ নারী ভোটার রয়েছে।

পাঠকের মতামত: