ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পাটি-সহযোগি সংগঠন মনিটরিং করবে সাবেক এমপি ইলিয়াছ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্বান্তের আলোকে পাটির মহাসচিব স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক নির্দেশনামতে সকল নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় পাটি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের কার্যক্রম মনিটরিং করবেন জাতীয় পাটির মনোনয়নে নির্বাচিত স্থানীয় বর্তমান সাংসদ এবং সাবেক সাংসদরা। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু (প্রয়াত) স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক নির্দেশনাপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাটির মহাসচিব স্বাক্ষরিত নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় পাটির (এরশাদ) চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে এবং পাটির প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্বান্তের আলোকে জানানো হচ্ছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সকল আসনে জাতীয় পাটির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে বলে মনোনীত হয়েছেন, সেই সকল আসনে তথা জেলা, উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়ন জাতীয় পাটি এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম তথা ( কমিটি গঠন, পুর্ণগঠন ও বাতিল) ওই এলাকায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রার্থীরা সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করবেন। এছাড়াও গঠনকৃত কমিটিসমুহ জেলা জাতীয় পাটি অনুমোদন করবেন।

মহাসচিব স্বাক্ষরিত নির্দেশনাপত্রে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ঠ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত কমিটি গঠন করার জন্য জেলা জাতীয় পাটি মনোনীত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করবেন। জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে এবং পাটির প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্বান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সাংসদও জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

তিনি বলেন, সারাদেশের মতো পাটির প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্বান্তের ভিত্তিতে সাংগঠনিক নির্দেশনার অনুলিপি আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সংসদ নির্বাচনে যে সকল আসনে জাতীয় পাটির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে বলে মনোনীত হয়েছেন, সেই সকল আসনে জাতীয় পাটি এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম তথা ( কমিটি গঠন, পুর্ণগঠন ও বাতিল) ওই এলাকায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রার্থীরা সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করবেন এবং গঠনকৃত কমিটিসমুহ জেলা জাতীয় পাটি অনুমোদন করবেন।

জাতীয় পাটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ হাজি মো.ইলিয়াছ বলেন, সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমার নির্বাচনী এলাকা তথা কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা, চকরিয়া পৌরসভা এবং ইউনিয়ন জাতীয় পাটি ও সহযোগি সংগঠনের তদারক আমার উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে। তাই এখানে (আমার নির্বাচনী এলাকায়) পাটির কমিটি গঠন, পুর্নগঠন, বাতিল করার ক্ষমতা অন্য কারো নেই এবং সাংগঠনিক কোন এখতিয়ার নেই। অতএব এখন থেকে আমার নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় পাটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে কেউ সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পাঠকের মতামত: