চকরিয়া অফিস :
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার বনাঞ্চল দখল হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৈনিক চকরিয়া নিউজে ফলাও করে সাংবাদ প্রকাশের পরদিন অবৈধ বসতি উচ্ছেদে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল ৩০ মে দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের মানিকপুর বনবিটে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও বনকর্মীরা সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ দিকে ২০১৩-১৪ সালের সামাজিক বনায়নের ভেতরে গড়ে উঠা প্রায় ৩০টি অবৈধ বসতি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়; ওই এলাকার সামাজিক বনায়নের ভেতরে এখনও অবৈধভাবে গড়ে উঠা শতশত বসিত(ঘর) রয়ে গেছে। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জার এবিএম জসিম উদ্দিন জানান, পর্যায়ক্রমে এসব বসতিগুলোও উচ্ছেদ করে দেয়া হবে। এই অভিযানে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাহেদুল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খান ও রেঞ্জার এবিএম জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ৬০জন বিট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বনকর্মী-পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায় আগামী শনিবারের মধ্যে অবৈধ ঘরগুলো নিজেরা ভেঙ্গে নিয়ে না নিলে সেখানে আবারো যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত ২৯ মে অনলাইন গণমাধ্যম চকরিয়া নিউজ ডটকম পত্রিকায় ‘চকরিয়ায় দখল হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল’ শিরোনামে সবিস্তারে সংবাদ প্রকাশের পর এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হলো। একটি সুত্রে জানা গেছে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ৪টি বন বিটের মধ্যে কাকারা, মানিকপুর, ডুলাহাজারা, নলবিলা ও রিংভং(ফাঁসিয়াখালী) বন বিটের বেশীরভাগ বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে। একটি সুত্র জানায়; কাকারা বন বিটের সব ভূমি জবরদখল হয়ে গেছে। ওই বিটে আর কোন জমি অবশিষ্ট নেই। সেখানকার সামাজিক বনায়ন গুলোতেও উপকারভোগীরা দখলে যেতে পারছেন না। বনকর্মীরা সমাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের প্রাপ্ত বনায়ন বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এখানে বন কর্মকর্তারা অবৈধ দখলদারদের সাথে যোগসাজস করে সামাজিক বনায়নও জবরদখলদারদের হাতে তুলে দিয়েছে। এসব এলাকায় এখন বনাঞ্চল নেই। সেখানে চলছে বন ভূমি বেচা বিক্রি। কিছু সামাজিক বনায়নের দেখা মিললেও সেগুলোও অবৈদদখলদের দখলে। ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসের পাশেও চলছে প্রতিনিয়ত বন ভূমি বেচা বিক্রি। এলাকাবাসী জানায়, ডুলাহাজারা বিটে গাছ কাটা চলছে খোদ বিট কর্মকর্তার সহযোগিতায়। এখানেও বনাঞ্চলের ভেতরে বনকর্মীদের টাকা দিয়ে নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠছে। এসব বসতি থেকে আবার মাসিক ও বছর বছর টাকা উঠানো হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জার এবিএম জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দখলকারীদের পেছনে প্রভাবশালীদের সমর্থন রয়েছে। এ জন্যে আমারা একবার ভেঙ্গে দিলেও পরে গিয়ে আবার অবৈধ ঘর তোলা হয়।
প্রকাশ:
২০১৬-০৫-৩১ ০৯:২০:৪০
আপডেট:২০১৬-০৫-৩১ ০৯:২১:১০
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
পাঠকের মতামত: