ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের বাজার তদারকি না থাকায় রমজান শুরুর আগেই মাছ-মাংসসহ নিত্যপন্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে

bg__111075মিজবাউল হক, চকরিয়া :::

পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই বাজারে  মাছ-মাংস, তরিতরকারি ও ইফতার সামগ্রীর সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রুব্যের দাম হু-হু করে বেড়ে চলছে। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে একটু চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়িরা এসব নিত্যদ্রব্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে নিন্ম মধ্যবিত্ত তো বটেই এমন কী গ্রামের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই চলে যাচ্ছে ক্রয় ক্ষমতা। রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকার বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে তাদের গাফলতির কারণে ও কোন ধরণের বাজার মনিটরিং না করায় একশ্রেণি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ি সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে দ্রব্য মূল্য সহনীয় রাখতে ক্রেতারা টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে মালামাল বিক্রির জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা সোসাইটির বৃহৎ কাচা বাজারে গুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসি ৬০০টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৯’শ টাকা, গলদা চিংড়ি কেজি প্রতি ৭-৮শ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, জাটকা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা ও লইট্টা ১৫০ টাকা ও ডিমের হালি ৩৮ টাকায় বিক্রি করছে। অপরদিকে রমজানকে সামনে রেখে সবচেয়ে দাম বেড়েছে ইফতার সামগ্রীর। এরমধ্যে ছোলার দাম ৯০-১০০টাকা, খেসারী ৫৫-৬০টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটার ১০০-১১০টাকা, পিঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, চিনি ৬০টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া খেজুর, ঘি, সেমাই সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।

সোসাইটি কাচা বাজারে দেখা যায়, টমেটো ৩০ টাকা, দেশি আলু ৩৫ টাকা, ললিতা আলু ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়, পটল ৩০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৩০ টাকায়, কাকরল ৩০ টাকায়, করলা ৩০, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাচা কলা প্রতি হালি ৪০টাকা, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, ঝিঙ্গে ২৫ টাকায় বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা।

খুচরা মাছ বিক্রেতারা জানান, পাইকারি আড়তদাররা অতিরিক্ত দরে বিক্রি করায় তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গত ২২ মে শবে বরাতের দিন জেলা প্রশাসকের ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমদ চিরিঙ্গা সোসাইটি মাংসের দোকানে উপস্থিত থেকে এককেজি গরুর মাংস ৪২০টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেন। ওইসময় শতশত ক্রেতা মাংস ক্রয় করেন। এধরণের উদ্যোগের জন্য অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাজিষ্ট্রেট চলে যাওয়ার পর পূনরায় ব্যবসায়িরা ৫০০-৫৫০টাকা দামে মাংস বিক্রি করেছেন। স্থানীয়রা কসাইরা ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রি করছেই না বরংচ ওজনে কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। সচেতনমহল মনে করেন, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের দরকার। আরও অভিযোগ ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে, রমজান মাসে বেশি দামে পন্য বিক্রির করার আশায় ইতোমধ্যে গুদামজাত শুরু করেছে তারা। সরকার দ্রব্য মূল্য সহনীয় রাখতে গত বছর থেকে চকরিয়ায় ৫ব্যবসায়িকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পন্য বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা রহস্যজনক কারণে এসব টিসিবির পন্য সামগ্রী বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যে পন্য সামগ্রী কিনতে পারছে না। এদিকে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ গত কয়েক পূর্বে মোহনা মিলনায়তনে জরুরী সভাও করেন। কিন্তু ওই সভার কোন সিন্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি। ##

পাঠকের মতামত: