ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

সাংবাদিককে হয়রানি করার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না- সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব দিতে ১০ দিন সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত থাকায় তারা এখন বেতনও পাচ্ছেন না।

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি ও অপর তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা কী- জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রসেডিংয়ের অংশ হিসেবে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। তখন ঘরে কোনো তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসির কার্যালয়ে নেয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণে আরিফুলকে এই হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও কর্মস্থলের সহকর্মীরা।

এ ঘটনায় ১৫ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

১৬ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীনকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে আদেশ জারি করা হয়। গত ১৯ মার্চ সুলতানা পারভীন, তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম।

পাঠকের মতামত: