আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া :: কুতুবদিয়ায় উপজেলায় গত ২১ মাসে পুকুরের পানিতে ডুবে ১২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে ২০২০ সালে প্রায় ৮০ এবং ২০২১ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৪২ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারের অভিভাবকদের অসচেতনতা ও অধিকাংশ বাড়ির পাশে বড় বড় পুকুর থাকার কারণে শিশুর মৃত্যু যেন থামছেই না।
উত্তর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের গত ১ অক্টোবর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত শিশু সুমাইয়া আক্তারের চাচা নাছির উদ্দীন জানান, তার বড় ভাইয়ের কন্যা শিশু সুমাইয়া বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে পাশের একটি পুকুরে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। শিশু সন্তানদের এরকম ঘটনা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবে, কোন বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানকে বাড়ীর উঠানে খেলতে দিলে একটু নজরে রাখার অনুরোধ করেন।
কুতুবদিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও সাংবাদিক শাহেদুল ইসলাম মনির চকরিয়া নিউজকে জানান, শিশুদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নজরে রাখার দায়িত্ব বাবা-মা সহ পরিবারের সকল সদস্যদের ভূমিকা থাকতে হবে। যাদের বাড়ির আশেপাশে পুকুর, ডোবা-নালা রয়েছে।তারা যেন শিশুদের বাড়ীতে একা ফেলে না যায়। বাবা-মা সচেতন হলেই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু অনেকাংশেই কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে জানান, উপজেলায় গত ২০২০ সাল থেকে এপর্যন্ত পুকুরের পানিতে ডুবে ১২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২০২০ সালে প্রায় ৮০, এবং ২০২১ সালে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৪২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা থেকে রেহাই পেতে প্রত্যেকটি পরিবারের বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানদের গুরুত্ব সহকারে নজরে রাখতে হবে। বাড়ির আশেপাশে পুকুর ডোবা-নালা থাকলে একা কোন শিশুকে বাড়ির উঠানে খেলতে না দেয়া। বাবা-মা একটু সচেতন হলেই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মসজিদ, মন্দিরসহ সরকারী ও বেসারকারী ভাবে শিশু ও অভিভাবকদের ওপর শিশুদের পথ চলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিদের্শনামুলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে দাবী সচেতন মহলের।
পাঠকের মতামত: