ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়া হাসপাতালে ২৭ পদে ৫ ডাক্তার

এম. এ মান্নান, কুতুবদিয়া ::
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার এলেও থাকেন না কেন-এমন প্রশ্ন খোদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিজেরও। প্রায় দেড় লক্ষ দ্বীপবাসির জন্য সরকারি একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হাসপাতালে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ২৭টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। অন্তত ৭/৮ বছর যাবত দলবেধে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত চিকিৎসক এখানে দেয়া হলেই ট্রেনিং কোর্স নানা ছুঁতোয় বছর ঘুরতে না ঘুরতে বদলি হয়ে চলে যান।  নিয়মিত থাকেন ৪ থেকে ৫ জন। এমনিতেই সারা বছর ঔষধ সংকট লেগেই থাকে। বছরে কয়েক দফা জরুরী অক্সিজেন সংকটও থাকে। গর্ভবতী রোগীর সিজারিয়ান সুবিধা নেই। ডেন্টিষ্ট  থাকলেও যন্ত্রপাতি-রুম নেই। প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও রোগীরা সেবা পায় একদিন। অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে এসে মাত্র একদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যান।  যাতায়াত ও আর্থিক-সময় নানা ভোগান্তির দরুণ রোগীরা অন্যত্র চিকিৎসা নিতে পারেন না।  এর পরেও ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, সুবিধা নেই। হাসপাতালে সরকারি অফিস সময়ের পর প্রাইভেট প্রাক্িটস জমেনা কর্মরত চিকিৎসকদের। নানা কারণেই চিকিৎসকরা থাকতে চাননা দ্বীপে। অপর দিকে প্রাইভেট প্রাকটিশ না জমার মূল কারণ অন্যত্র থেকে  একাধিক চিকিৎসক বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চেম্বার করেন। অবশ্য বৃহস্পতিবার সরকারি হাসপাতাল খোলা থাকায় বহিরাগত চিকিৎসকের চেম্বার চললে হাসপাতালের আউটডোরে প্রভাব পড়ে-এমন অভিযোগও ওঠে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, চিকিৎসকের বিশাল পদ খালী এটা সত্য। সরকার চিকিৎসক দিচ্ছেন। কিন্তু ডাক্তার থাকবেন কেন? তাদের পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা ভাল না থাকায় চলে যেতে চান অনেকেই।
এ ছাড়া বহিরাগত চিকিৎসক এসে প্রাক্ টিস করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারগণ প্রাইভেট প্রাকটিস সুবিধা পান না খুব একটা। যে কারণে যাদের দেয়া হয় তারা অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে যাওয়ার জন্য উদগ্রিব হযে থাকেন। তবে হাসপাতালের পরিবেশ সেবা বেড়েছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: