দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ব্যাংক নিলামের খবরে বিএনপির ভিতরে-বাইরে নানা আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে খোদ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরই মধ্যে বিএনপি আইনিভাবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, খেলাপি ঋণের দায়ে নিলামে উঠতে যাচ্ছে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ঢাকার অর্থ ঋণ আদালত নিলামের উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত। ১৯৯৬ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ঋণগ্রহীতা দুবার উচ্চ আদালতে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। স্থগিতাদেশ কিছুদিনের মধ্যে উঠে যেতে পারে। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিএনপি কার্যালয় নিলামে তুলে তাদের পাওনা আদায় করবে। বিএনপির দাবি, রাজধানীর ২৮/১ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল দলিল তাদের হাতে রয়েছে। ফটোকপি দিয়ে বাড়ি মর্টগেজ রাখা যায় না। তাছাড়া উচ্চ আদালতে এ নিয়ে একটি মামলা স্থগিত রয়েছে। এ নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে দলের আইনজীবীরা সংবাদ সম্মেলন করবেন।
ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে বলা হচ্ছে, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী খেলাপি ঋণ উদ্ধারের জন্য অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করে বন্ধক রাখা সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আদায় করা হয়। সে নিয়মে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক নেতা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর গুলশানের বাসভবন এবং নয়াপল্টনের পাঁচতলা ভবনটি বিক্রি করে পাওনা আদায় করবে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি কোনো ঋণের জন্য কার্যালয় মর্টগেজ দেয়নি। মূল দলিলও বিএনপির হাতে রয়েছে। তাছাড়া ফটোকপি নিয়ে মর্টগেজ করার কোনো নিয়ম নেই। এখন জাল দলিল করে কেউ বিএনপিকে ফাঁসাতে এ কাজ করতে পারে। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা স্থগিত আছে। এখন আইনিভাবে লড়ব। ’ তিনি বলেন, ‘ঋণ বিএনপিও নেয়নি, তানবীর আহমেদ সিদ্দিকীও নেননি। তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি টাকার জামিনদার হয়েছিলেন। সে টাকাও দেওয়া হয়েছে। পরে তার বাড়ির মূল দলিলও ফেরত দেওয়া হয়েছে। টাকা না দিলে বাড়ির দলিল ফেরত দেওয়া হতো না।
পাঠকের মতামত: