শাহীন মাহমুদ রাসেল :: সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু মহামারি এ ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে নেই কোনো ভীতি-উদ্বেগ। সরকার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ঘোষণা করেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষার প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ সেদিকে কারোরই ভ্রুক্ষেপ নেই। পরিবহন, হাট-বাজার, বিপণিবিতান, মার্কেট, রেষ্টুরেন্ট কোথাও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
মাস্ক পরতে মানুষকে বাধ্য করতে প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মধ্যমে জরিমানা করলেও তবুও হুশ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা, বাস টার্মিনাল, হোটেল-মোটেল জোন, সমুদ্র সৈকত, শপিং মহল ও হাট-বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মুখে মাস্ক পরেন না অর্ধেক মানুষ। কেউ কেউ থুতনিতে মাস্ক পরেন। সড়কে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এছাড়াও শহরের অলিগলিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই চোখে পড়েনি। দোকানে দোকানে ভিড় করছেন মানুষ।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বড় বাজারে দেখা যায় মানুষের ভিড়। হকার মার্কেট, সুপারমার্কেটে, সালাম মার্কেটে ও পান বাজার সড়কে প্রচন্ড ভিড়। কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। বাজারের ভেতরে মুদি দোকানগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। ওই দোকানের বাইরে একটি সাদা কাগজে লেখা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোল চিহ্ন দেয়া স্থানে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনুন। কিন্তু ক্রেতাদের কেউই তা মানছেন না। তারা গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছেন। দোকানে থাকা কর্মচারীর মুখে কোনো মাস্ক নেই। বাজারের প্রায় সব দোকানেই একই চিত্র। বাজারের চিত্র দেখে বোঝা মুশকিল যে কক্সবাজারে করোনাভাইরাস নামে ভয়াবহ কোনো সংক্রমণ ব্যাধি আছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো দৃশ্যই দেখা যায়নি।
সরজমিন দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই কক্সবাজারের কলাতলী বিচে কয়েক হাজার পর্যটক। সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা এসব পর্যটকের অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কারো কারো মাস্ক থাকলেও তা মুখের বদলে গলার দিকে নামানো। তাছাড়া একই পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা দূরত্ব বজায় ছাড়াই বিচের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যাতে করোনাভাইরসা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকাংশে। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতামূলক নির্দেশনা থাকলেও আদতে কেউ মানছেন না।
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক যাত্রী মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান) মানা হচ্ছে না। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে টার্মিনালের ভেতর এমনকি বিমানে ওঠার সময়ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রতিপালিত হচ্ছে না।
বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার থেকে অন্য জেলা উপজেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার তেমন কোনো তোড়জোড় নেই। যাত্রীদের তোলার সময় কোনোধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার উপজেলাসমূহ এবং শহরের জনবহুল স্থানে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ মোকাবেলায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলা এবং শহরে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও মাইকিং করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে জেলায় ১০ লাখ মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ করার কথা রয়েছে। এছাড়াও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মোবাইল কোর্টে শতাধিক লোকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, আর তা নিশ্চিত করতে সচেতনা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ফ্রি মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। এরপরও যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলেন, তবে তিনি নিজেই ঝুঁকিতে পড়বেন।
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের কমিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি
- চকরিয়ায় দিনব্যাপী জেন্ডার সমতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে ওসির কাছ থেকে মোবাইলে চাঁদাদাবি, যুবক গ্রেফতার
- কেউ দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা”
- শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চকরিয়া উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় মালুমঘাট হারবাং বমুতে খ্রীষ্টানদের শুভ বড়দিনের উৎসব উদযাপন
- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- চকরিয়ায় ডাকাতি,মলম পার্টি,গরু চোর ও নাশকতা মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার
- হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় চকরিয়া মহাসড়কে বাড়ছে ছিনতাই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির অবৈধ নির্বাচন
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় ডাকাতি,মলম পার্টি,গরু চোর ও নাশকতা মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার
পাঠকের মতামত: