মাহাবুবুর রহমান. কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার বিপরীতে ২৬ জুন পর্যন্ত ২৭১৩ জনের করোনা সনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৫,৭২৫ জনের মধ্যে ১২৮৬ জন ইতি মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে বাকিরাও চিকিৎসাধীন আছে। আর মারা গেছে ৪০ জন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে
বান্দরবান,সাতকানিয়া,লোহাগাড়া,রোহিঙ্গা সহ মোট টেস্ট করা হয়েছে ১৭৪৫২ জনের।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পার্শবর্তি বান্দরবান জেলা,চট্টগ্রামের সাতকানিয়া,লোহাগাড়া,রোহিঙ্গা সহ মোট করোনা টেস্ট করা হয়েছে ২০ হাজার ৩০ জনের (৫ জুলাই পর্যন্ত) এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ১৫ হাজার ৭২৫ জন তার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৭১৩ জন।
উপজেলা হিসাবে কক্সবাজার সদরে ১২৯৩ জন,রামুতে ২৩৭ জন,উখিয়া ৩০২ জন,চকরিয়া ৩৩৪ জন,টেকনাফ ২৪০,পেকুয়া ১০৩ জন,কুতুবদিয়া ৬৩ জন,মহেশখালী ১৩৬ জন,উখিয়ায় রোহিঙ্গা ৪৭ জন টেকনাফে ৫ জন।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে সম্পূর্ন সুস্থ হয়েছে ১২৮৬ জন। আর হোম আইসোলেশনে আছে ১২৪৩ জন। এছাড়া সদর হাসপাতাল সহ রামু,উখিয়া এবং বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টানে আছে ১৮৭ জন।
এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে (৫ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছে ৪০ জন) অন্যদিকে রোহিঙ্গা মারা গেছে ৫ জন। আলাপ কালে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী আহসান বলেন,শুরুর দিকে কক্সবাজারে করোনা সংক্রামন কম থাকলে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের হার খুব বেশি বেড়ে গেছে।
মূলত পারিবারিক সংক্রামন বেশি হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেণ, শুরুর দিকে আমরা সাধারণ মানুষকে বুঝাতে চেস্টা করতেও অনেকে করোনা রোগ যে মারাত্বক ছোয়াছে রোগ সেটা বুঝতে পারেনি। তাই অনেক সময় একই পরিবারে সর্বোচ্চ ২০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। আবার বেশির ভাগ সংক্রামন হয়েছে করোনা রোগির সংস্পর্শে এসে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন,বিশ^ পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনো আমার মতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই কারন অনেক দেশে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ। তাই আমি আশাবাদি লোক সে জন্য বলবো এখনো সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। আর আগে চিকিৎসার দিক থেকে অনেক খারাপ অবস্থা থাকলেও বর্তমানে আইসিইউ সহ অনেক সুবিধা কক্সবাজারে আছে। তাই অনেকে বাইরের জেলা থেকেও এখানে চিকিৎসা নিতে আসতে আগ্রহী।
পাঠকের মতামত: