কক্সবাজার সদর ভুমি অফিসে রেকর্ড, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথি সংরক্ষণের কোন বালাই নেই। সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় একের পর এক রেকর্ড, বালাম বহি ও খতিয়ান সহ দলিলাদি গায়েব হয়ে যাচ্ছে। সেবা প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ান বহি না পাওয়ায় তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি সম্পাদন করতে পারছে না।
এদিকে নথি হারানোর এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কানাঘুষা চললেও বিষয়টি তারা ধামাচাপা দিতে চাইছেন। সর্বশেষ সদরের খুরুস্কুল মৌজার বিএস খতিয়ান ১নং থেকে ১৩১নং খতিয়ান পৃষ্টা নেজারত শাখা থেকে উধাও হয়ে গেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
ভুমি অফিসের ওই শাখায় এসব খতিয়ানের হদিস পাওয়া না গেলেও আপাতত সদর তহসিল অফিসে সংরক্ষিত অস্পষ্ট খতিয়ান বহির সাহায্যে প্রয়োজনীয় কাজ সারা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ এভাবে দায় সারলেও চুরি কিংবা গায়েব হওয়া খতিয়ান বইটি উদ্ধারে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই মৌজার বিএস ৯৪নং খতিয়ানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অংশীদার জানান, গত বুধবার (১ জুন) ৯৪ নং খতিয়ানের রেফারেন্সে তারা আরো কয়েকজন অশংীদার নামজারি জমাভাগ খতিয়া সৃজন করেন। খতিয়ানের বিপরীতে তিনি ডিসিআর কাটতে ভুমি অফিসের নেজারত শাখায় গেলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (নাজির ) আমজাদ আলী খতিয়ান বইটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অজুহাতে ডিসিআর না কেটেই সেবা প্রার্থীকে ফেরৎ দেন। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য সেবাপ্রার্থী ফেরৎ যেতে বাধ্য করছে নেজারত শাখার নাজির আমজাদ আলী।
কয়েকজন সেবাপ্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভুমি অফিসে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। সহকারী কমিশনার ভুমির নাম ভাঙ্গিয়েও আদায় করা হচ্ছে ঘুষ। টাকা ছাড়া এখানে ওম্মেদারেরা পর্যন্ত কথা বলে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ নথি হারানোর বিষয়টি সহকারী কমিশনার ভুমিও অবহিত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও খতিয়ান বইটি উদ্ধারে রহস্যের ভুমিকা থাকায় প্রশ্ন উঠছে অফিসের কয়েকজন দুষ্টচক্র ও উম্মেদার এ চুরির কাজে জড়িত কিনা?
এব্যাপারে সদর ভুমি অফিসের নেজারত শাখার কর্মকর্তা (নাজির) আমজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খতিয়া বহি খুঁজে পাওয়া না গেলেও উল্লেখিত খতিয়ানগুলো তহসিল অফিস এবং অনলাইনে সংরক্ষিত রয়েছে।
পাঠকের মতামত: