ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওয়ে বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দাম চড়া!

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারে। বৃষ্টির অজুহাতে দেশি পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহের তুলনায় শনিবার হাটের দিন দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে নানা ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে কারণ ছাড়াই ডিমের দাম বাড়ছে। প্রতি পিচ ফার্মের ডিম সাড়ে ৮টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ-চালের দামও বেড়েছে। তবে ডাল, ভোজ্য তেল, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্থিতিশীল। শনিবার ঈদগাঁও বাজারের কাঁচা তরিতরকারি বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রহিম উদ্দীন বলেন, সকালে পাইকারি পেঁয়াজের আড়তে পেঁয়াজের দাম বাড়তি ছিল। পাইকাররা বলছে দেশে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ আসছেনা। ঘাটতি থাকায় পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

অপরদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সবজির দাম। ৫-১০ টাকা বেশি দরে একাধিক সবজি বিক্রি হয়েছে। বরবটি ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি শসা ৪৫-৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ঈদগাঁও কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জমির উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম একটু বাড়তি। টানা বৃষ্টি ও দেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেত। এ কারণে সবজি সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে পাইকাররা। বাজারে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি।

এদিকে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বাজারের ডিমের আড়তে গত সপ্তাহের ৯০ টাকা ডজনের ডিম ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. সেকান্দর বলেন, পাইকারি ডিমের বাজারে দাম বাড়তি। তাই বেশি দাম কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজারে চাল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা চাল বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন বলেন, নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকায়। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্থি বিরাজ করছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৭০-২৫০ টাকা, লেয়ার ১৮০ টাকা ও গরুর মাংস ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: