নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁও মেহের ঘোনারেঞ্জের কালির ছড়া বিটে পাহাড় কাটা চলছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় পাহাড় কাটা কোনভাবেই থামছেনা। জানা যায়, কালিরছড়া ভুতিয়া পাড়া এলাকার পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় ধসে দূর্ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের মাঝে কোন সচেতনতা তৈরী হচ্ছেনা। অপরদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা রোধে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী সচেতন মহলের। এছাড়াও ডাম্পার যোগে বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে মাটি সরবরাহ করে থাকে। তবে স্থানীয়রা পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপায় প্রাণহানির মত দূর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করছেন। সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকায় সমতল ভূমির আকাশচুম্বি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশের পরিবেশ গত উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া এবং নাফ-নদী দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ নানা কারনে পাহাড়ি ভূমিতে মানুষের বসবাসের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ঘর তৈরীর লক্ষ্যে এসব কারনে বেড়েই চলছে পাহাড় কাটার প্রতিযোগীতাও। বিগত দীর্ঘকাল ধরে পাহাড় কাটার এই অশুভ প্রতিযোগিতা চলে আসলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না ঈদগাঁও কালির ছড়া ভুতিয়া পাড়ার বিশাল পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে। ঐসব এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপন হচ্ছে নানা বসতি। তবে সচেতন লোকজনের মতে, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পাহাড় একের পর এক সাবাড় হয়ে যাবে। যাতে করে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপও কামনা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বারের মতে,পাহাড়ের মালিকের অগোচরে লোকজন দিবারাত্রী গাড়ী যোগে যে যার যার মত করে মাটি বা বালু নিয়ে যাচ্ছে। তবে মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মামুন মিয়া পাহাড় কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। আবার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজা লিয়া রাজঘাট এলাকায় পাহাড়ের উপর ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ৩/৪ শতাধিক পরিবার বসবাস করে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। সে সাথে পাহাড়ের পাশ্ব র্বতী স্থানে একটি গর্জনগাছের কারনে নিচে বহু বাড়ীঘর চরম ভাবে ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম পাহাড়ের উপর লোকজন বসবাসের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তাদেরকে পাহাড় থেকে সরিয়ে অনত্রে বাসস্থানের জায়গা করে দিলে ভয়াবহ পাহাড় ধসে প্রানহানীর মত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে। অপরদিকে মাছুয়া খালী বনবিটের আওতাধীন বিচের ঘোনা নামক এলাকায় মাসাধিক ধরে আনুমানিক এক একর পাহাড় বিলীন করে কতিপয় মহল কতৃক বালু উত্তোলন করে চলছে দেদারছে। এমনকি বিগত বছর ঐ স্থানে পাহাড় ধসে এক যুবক নিহত হলেও অধ্যবদি পর্যন্তও কোন প্রকার সচেতনতা তৈরী হয়নি তাদের মাঝে। একাধিক শ্রমিক দিয়ে বড় মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব দশর্কের ভুমিকা পালন করে চলছে।
পাঠকের মতামত: