আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: যুদ্ধবিরোধী মিছিলে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে বিমান হামলায় ইরানি কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যে আরো কমপক্ষে ৩ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হত্যা করা হয় সোলাইমানিকে। এরপরই তিনি কমপক্ষে ৩ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন। তার এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য শহরে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিক্ষোভ করেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
বিক্ষোভ হয়েছে হোয়াইট হাউজের বাইরে। তাতে অংশ নিয়েছেন অভিনেত্রী ও অধিকারকর্মী জেন ফন্ডা। তিনি বলেছেন, তেলের জন্য আমরা মানুষ হত্যা, পরিবেশ ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এ সময় সেখানে কয়েকশত বিক্ষোভকারী স্লোগান দিতে থাকেন, কোনো ন্যায়বিচার বা শান্তি নয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বেরিয়ে যাও যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, এরপর কয়েকটি ব্লক পরেই ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের দিকে অগ্রসর হয় ওই র্যালি। একই রকম বিক্ষোভ হয়েছে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো ও অন্যান্য শহরে। কোড পিঙ্কের আয়োজকরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহরে শনিবার বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। কোড পিঙ্ক হলো নারী নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরোধী গ্রুপ।
ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার বহন করেন। তাতে লেখা ‘ইরানের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধ বা অবরোধ নয়’ এবং ‘ইরাক থেকে মার্কিন সেনারা বেরিয়ে যাও’।
৮২ বছর বয়সী ফন্ডা শনিবারের বিক্ষোভে বলেছেন, বিক্ষোভে উপস্থিত তরুণ সমাজকে জানতে হবে যে, তোমাদের জন্মের পর থেকে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তার সবই হয়েছে তেলের জন্য। শুধু তেলের জন্য আমরা কোনো মানুষের প্রাণহানী হতে দিতে পারি না। কোনো মানুষকে হত্যার শিকার হতে দিতে পারি না। পরিবেশ ধ্বংস করে দিতে পারি না।
মেরিল্যান্ডের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন স্টিভ লেন। তিনি বলেছেন, বিক্ষোভে অংশ নেয়াই অনেক কিছু নয়। আমাকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং বলতে হবে যে, আমি এসবের (যুদ্ধ) বিরোধিতা করি। যদি যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ এই একই কথা বলেন, তাহলে তিনি (ট্রাম্প) তা শুনবেন।
পাঠকের মতামত: