ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ ছাড়াই মাঠে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক :: স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বিএনপি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না থাকায় দলটি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। তবে ভোট বর্জনের এমন ঘোষণা দিলেও মাঠের চিত্র পুরো উলটো। ধানের শীষ না থাকলেও ভোটের মাঠে ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিএনপির ভোটব্যাংক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় কেউ মাঠ ছাড়ার পক্ষে নেই। দলের কেন্দ্র থেকেও এমন সবুজ সংকেত রয়েছে।

ফলে যেখানে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে সেখানে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে বেশি আশাবাদী বিএনপি প্রার্থীরা। ধানের শীষ ছাড়াই নির্বাচন করতে না পারার মনোবেদনা থাকলেও কৌশলের রাজনীতিতে তারা এখন মামলা-হামলা ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। যুগান্তরকে এমনটিই জানিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারক ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে।

যুগান্তরের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চলমান ইউনিয়ন পরষিদ (ইউপি) নির্বাচনে সারা দেশে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে অনেকে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্রও।

এদিকে ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড অনেকটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হলেও কেউ নির্বাচন করলে তাদের বহিষ্কার বা শোকজ করা হবে না। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত জানার পর বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনেও অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোটের মাঠে ছিলেন। কেউ কেউ জয়লাভও করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। যেসব ইউপিতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছে সেখানে বিএনপির তৎপরতা কিছুটা কম। তবে যেখানে ক্ষমতাসীনদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেসব ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে বেশি সক্রিয় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে বিজয় অর্জনের কৌশলে যারা এগিয়েছেন অনেক দূর।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর। এর আগে প্রথম ধাপে (দুভাগে) ৩৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পরও বিএনপি মাঠে থাকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপির রাজনীতি বর্ণচোরা। ইউপি নির্বাচনেও দলটি পরিচয় লুকিয়ে অংশ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে যা বলেন, তা করেন না। আর যা গোপনে করেন, তা প্রকাশ্যে বলেন না। তাই জনগণ বিএনপির দ্বিচারিতা বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে আমরা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। কারণ তারা দেশের ভোটিং সিস্টেমটাই ভেঙে ফেলেছে। তাদের অধীনে এ দেশে আর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা সব ধরনের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের কাউকে অংশ নিতে আমরা যেমন জোর করব না, তেমনি কেউ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করতে চাইলে বাধাও দেব না। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনা, প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করাসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমরা বিরত আছি। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরও অনেক এলাকায় কেউ কেউ স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। কেন তারা নির্বাচন করছেন সে ব্যাপারে দলীয়ভাবে জানতে চাওয়া হবে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আর স্থানীয় রাজনীতি এক নয়। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় পরিস্থিতির কারণে সব জায়গায় তা শতভাগ বাস্তবায়ন নাও হতে পারে। স্থানীয় প্রভাব এবং জনগণের চাপে অনেকে প্রার্থী হতে বাধ্যও হতে পারেন। তবে ইউপি নির্বাচনে কে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের বিদায় করাই এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।’

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে বলেন, ইউপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরও কেউ কেউ হয়তো প্রার্থী হচ্ছেন। কিন্তু তাদের নানা কারণে আমরা নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলছি না। প্রথমত, আগামী দিনের আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে হবে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে একটা উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৈরি হয় সেতুবন্ধ। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকে, সেক্ষেত্রে এই বন্ধন আরও সুসংহত হবে। কেননা নির্বাচনী জনসংযোগের মাধ্যমে তারা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি যেসব নেতাকর্মী মামলা-হামলার কারণে দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া তাদের মধ্যে ঘরে ফেরার তাগিদ বাড়ছে। বিশেষ করে অনেকে এলাকায় ফিরে এসে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক কাজও শুরু করেছেন, যা দলের জন্য ইতিবাচক।

তারা আরও বলেন, বিএনপি শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিপক্ষে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া দলের লিখিত সুপারিশে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। কারণ ইউপি নির্বাচনে এলাকায় সবসময় একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। আবার প্রতীক ছাড়া ভোট হওয়ায় এলাকায় আত্মীয়স্বজন, পারিবারিক ঐতিহ্য ও প্রভাব বিশেষ ভূমিকা রাখত। দলমত নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিরা ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে কাজ করতেন। কিন্তু ইউপিতে দলীয় প্রতীক দেওয়ায় সেই ঐহিত্য নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে এমনও দেখা গেছে, নিজ পরিবারের কেউ নির্বাচন করলেও রাজনীতির কারণে তাকে হয় বিরোধিতা, না হয় নিষ্ক্রিয় থাকতে হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘদিনের আত্মীয়তার বন্ধন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এগুলো রাজনৈতিক দল ও এলাকায় পারস্পরিক ভ্রাতিৃত্ববোধ নষ্ট করছে।

এ ছাড়া দলীয় প্রতীকে ভোট বর্জনের আরও কয়েকটি কারণ তুলে ধরে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা যুগান্তরকে বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ধানের শীষ প্রতীকে কেউ ভোট করলেই প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন ও নানা হয়রানি। এমনকি অনেকে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন। প্রশাসনও ধানের শীষের প্রার্থীকে পরাজিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করলে এ ধরনের ঝক্কি ঝামেলা কিছুটা কম থাকে। তবে এ কথাও সত্য যে, যদি সরকারি দলের প্রার্থী বুঝতে পারেন সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেশি, তা হলে শুরু থেকেই তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। জোর করে বসিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে প্রশাসন দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। আওয়ামী লীগে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে ভোটের দিন নানা রকম অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনেও এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে।

যুগান্তরের ব্যুরো থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপের বেশির ভাগ ইউনিয়নেই বিএনপি নেতারা মাঠে রয়েছেন। তবে যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী সেখানে বিএনপি শক্তভাবে মাঠে কাজ করতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সংঘাত সহিংসতা এড়িয়ে কিভাবে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে নীরব ভোট বিপ্লব করা হয় সেই পথে হাঁটছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

রাজশাহীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট করছেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার মোট ১৬টি ইউনিয়নে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। রোববার বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি কামরুজ্জামান হেনা তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। একই সঙ্গে মনোনয়ন নিয়েছেন ৩নং পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোমিনুল হক মোমিন।

৫নং সরনজাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান রোববার নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। কামারগাঁও ইউনিয়নে মনোনয়ন তুলেছেন বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান। ৭নং চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন তুলেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন চেয়ারম্যানের ছেলে উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান রিমন। তানোরের ৫নং তালোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ও জামায়াত যৌথভাবে জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি আক্কাস আলীকে মনোনীত করেছেন। আক্কাস আলী রোববার মনোনয়ন তুলেছেন নির্বাচন অফিস থেকে। এসব প্রার্থী ইতোমধ্যে মাঠে গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

অন্য দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতেই বিএনপি নেতারা নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১নং গোদাগাড়ী ইউনিয়নে যুবদল নেতা শরিফ উদ্দিন মনোনয়ন তুলেছেন। ২নং মোহনপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মোস্তফা হোসেন, ৩নং পাকড়ি ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল হক, ৫নং গোগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, ৭নং দেওপাড়া ইউনিয়নে উপজেলা যুবদলের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন বাবু, ৮নং বাসুদেবপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বেবি ও ৬নং মাটিকাটা ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম নিজ নিজ মনোনয়ন তুলেছেন। তারা ইতোমধ্যে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ যুগান্তরকে বলেন, দল আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে মনোনয়ন কিংবা ভোট করার অনুমতি দেয়নি। কেউ নিজ দায়িত্বে ভোট করতে চাইলে সেটা তার নিজস্ব বিষয়। দল এখানে কোনো প্রার্থীকে নির্দেশনা বা সমর্থন দিচ্ছে না। যারা দলের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভোট করছেন তাদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানান তিনি। যদি কোনো নির্দেশনা আসে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সিলেট বিভাগজুড়ে বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন করছেন। বিগত নির্বাচনে বালাগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনীত আব্দুল মুনিম। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। দেওয়ান বাজার ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি মনোনীত নাজমুল আলম নজম। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

বিগত নির্বাচনে পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্পের জন্য তার জয় হাত ছাড়া হয়ে যায়। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার আটটি ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উমরপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা হাফিজ রায়হান আহমদ বলেন, দল নির্বাচনে না এলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে আলীনগর ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের দুজন নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচিত হন আরও দুজন। এরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন। বড়লেখার ১০ ইউনিয়নে বিএনপির ডজনখানেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

জুড়ী উপজেলায় পাঁচটি ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে। পাঁচটির মধ্যে চার ইউনিয়নেই বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তবে দলের কেউ নির্বাচন করতে চাইলে নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করতে হবে।

শুধু সিলেট ও রাজশাহী বিভাগ নয়, দেশের অন্যান্য বিভাগেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের মাঠে রয়েছেন। ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্রও। বিশেষ করে দেশের যেসব এলাকায় আগে থেকে বিএনপি ও সমমনা দলের ভোট ব্যাংক রয়েছে সেখানে নির্বাচনে জিতে আসার সমূহ সম্ভাবনাকে অনেকে হাত ছাড়া করতে চাচ্ছেন না। সুত্র: যুগান্তর

 

 

পাঠকের মতামত: