বাঁশখালী প্রতিনিধি ::
বাঁশখালী উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, মাধ্যমিক শিক্ষা ও সমবায় কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কাজকর্মে নানা সমস্যা হচ্ছে। জানা গেছে, গত ৫৮ দিন ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদ শূন্য। গত ৯ জুন ইউএনও মো. সামশুজ্জামান অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল হাসান। দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে তাঁর সিদ্ধান্ত ও স্বাক্ষর করার এখতিয়ার না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাজও একেবারে বন্ধ রয়েছে। ওই সুযোগে উপজেলার অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালনে নানাভাবে গাফিলতি করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই গত ১৯ বছর।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাঁশখালীতে ইউএনও হিসেবে অনেকে যোগদান করতে আগ্রহী নন। আশুগঞ্জ থেকে সঞ্জীব কুমার সিংহ নামের একজনকে ওই পদে বদলি করা হলেও পরে তিনি তদবির করে অন্যত্র চলে যান। তবে বাঁশখালীতে শিগগিরই ইউএনও দেওয়া হবে। আশাকরি, এর পর প্রশাসনিক কাজকর্ম সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, ‘কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা একজন কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তা আমরা প্রত্যাখ্যান করে বলেছি, চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার বাইরের কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দিলে বাঁশখালীর জন্য ভালো হবে।’
পাঠকের মতামত: