নিউজ ডেস্ক :: বিশ্বব্যাপী চরম মুসলিম সংকটের মাঝেও পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ উদ্দীপনায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমে ইসরাইলি বাহিনীর চরম অত্যাচার-নির্যাতনও ইসলাম গ্রহণের অব্যাহত ধারাকে রুখতে পারেনি। সদ্য বিদায় নেয়া ২০১৯ সালেও আল-আকসায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন ২৪০ জন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।
২০১৯ সাল মুসলিম উম্মাহর জন্য চরম দুঃখ ও বেদনার বছর। বছরজুড়েই বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসলিমরা ছিল অত্যাচার-নির্যাতনের লক্ষ্যবস্তু। অন্যান্য বছরের তুলনায় উন্নতির চেয়ে মুসলিমদের অবস্থান অবনতির দিকে। যার প্রমাণ রাখাইনের রোহিঙ্গা নির্যাতন, জম্মু-কাশ্মীরের অধিকার হরণ, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, নরওয়েতে কুরআনের ওপর আক্রমণসহ সর্বশেষ ২০১৯ সালেই ভারতে শুরু হওয়া মুসলিমবিরোধী সব কালো পরিকল্পনা।
মুসলমানরা বেদনা ও হতাশায় বছর পার করলেও কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতাটি তাদের জন্য যথার্থ। কবির ভাষায়, ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। কবিতার কথাগুলো মুসলমানদের জন্য সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মুসলমানদের জন্য ভয়, হতাশা ও দুর্দশার ‘আড়ালে সূর্য হাসে’-এর মতো দারুণ খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনভিত্তিক গণমাধ্যম আল কুদস।
নির্যাতিত ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের আল-আকসায় ২০১৯ সালেও পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন ২৪০ জন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। তামিলনাড়ুর দলিত সম্প্রদায়ের ৩ হাজার লোকের ইসলাম গ্রহণের ঘোষণাও এসেছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে। যারা ৫ জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে পুরো গ্রামের লোকেরা ধাপে ধাপে গ্রহণ করবে পবিত্র ধর্ম ইসলাম। নিঃসন্দেহে এসব ঘটনা ইসলামের বিজয়ের আগাম বার্তা।
পৃথিবীব্যাপী সব অত্যাচার নির্যাতনের মাঝেও বছরজুড়ে ইসলাম ও মুসলমানদের রয়েছ অনেক সাফল্য। ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন দেশ ও জাতিতে ইসলাম গ্রহণের ধারাবাহিকতা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেড়েই চলেছে। বিদায়ী বছর ২০১৯ সালে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় এসে ২৪০ জন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ২৪০ জনের মধ্যে অধিকাংশই খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে গ্রহণ করেছেন ইসলাম। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ দাঈ ও ওলামা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইসলামিক স্কলারস-এর চেয়ারম্যান শায়খ ইকরিমা সাবরির বরাতে আল-আকসা গণমাধ্যম এ সুখবর জানায়।
পাঠকের মতামত: