ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আ. লীগে একাধিক প্রার্থী বিএনপিতে জামায়াত কাঁটা (রামু-সদর আসন)

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের এক প্রান্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায়। অন্যদিকে সম্রাট শাহ সুজা, সম্রাট অশোক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা রামচন্দ্রের স্মৃতিতে ভাস্বর রামু উপজেলা। এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৩ আসনটি বরাবরই পরিচিত একটি মর্যাদার আসন হিসেবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেরই প্রভাব রয়েছে এই আসনে। একসময় জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব থাকলেও এখন তেমন নেই বলা চলে।

তবে কক্সবাজার পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রয়েছে শক্ত অবস্থান; যার প্রমাণ গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের বিশাল বিজয়। মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৪১ হাজার ভোট, বিএনপি সমর্থিত রফিকুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১০ হাজার এবং জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সরোয়ার কামাল পেয়েছিলেন চার হাজার ভোট।

তবে সার্বিক হিসাবে কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির সমর্থকের সংখ্যাও কম নয়। জামায়াত-বিএনপির জোটের কারণে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আর কোনো নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেনি এখানে। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৮৬ হাজার ৯৯ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৭ জন। কক্সবাজার সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ভোটার রয়েছে দুই লাখ ২২ হাজার ৮৩৫ জন। রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ৮১০।

সাম্প্রতিক কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন হাওয়া বইতে শুরু করে। আর তা হলো পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্য। কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। অন্যদিকে জামায়াত ও বিএনপির ছিল পৃথক মেয়র প্রার্থী। মূলত পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগদলীয় নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। নেতাকর্মীরা মনে করছে, পৌর নির্বাচনের একতা ধরে রাখতে পারলে জেলার চারটি সংসদীয় আসনেই জয় আসবে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির সুবিধার জায়গাটি হচ্ছে দলীয় একক প্রার্থী। তবে জামায়াত নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মহাজোটের জোয়ার বয়ে গেলেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হন কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল। বিএনপি থেকে তিনিই একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে তাঁর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে জামায়াত। বর্তমান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিমুল্লাহ ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কক্সবাজার সদর ও রামুতে জামায়াত-শিবিরের ভালো সংগঠন রয়েছে। এ কারণে আমরা ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতের প্রার্থী দাবি করব। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।’

আওয়ামী লীগ

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন অনেক নেতা। এমনকি এক পরিবার থেকেই রয়েছে একাধিক প্রার্থী। এঁরা হচ্ছেন রামু উপজেলা সদরের বাসিন্দা মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর সন্তানরা। সাবেক দলীয় এমপি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওসমান চৌধুরীর পরিবারটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য লালন করে আসছে। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এঁদের একজন হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তাঁর জ্যেষ্ঠ ভাই ও রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল এবং কনিষ্ঠ বোন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরী। এঁদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেকায়দায় রয়েছে ওসমান পরিবারের দুই ভাই ও এক বোনের দ্বন্দ্ব নিয়ে। তাঁরা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে লেগে রয়েছেন রাজনীতির মাঠে। স্থানীয় রাজনীতিতে তিন ভাই-বোনের ঝগড়া একদম প্রকাশ্য। তাঁরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ নিয়ে মেতেই থাকেন। বর্তমান এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এলাকায় যেমন নন্দিত তেমনি আবার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে বিরুদ্ধবাদীদের মুখে।

বর্তমানে রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নেরই চেয়ারম্যান হচ্ছেন সাবেক বিএনপি ও জামায়াত নেতা। তাই এসব এলাকার ভোট টানার বাধাটাও স্পষ্ট। ভাই-বোনের বিরোধিতার মুখে বলতে গেলে এমপি কমল রাজনীতিতে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ নিজস্ব কর্মী বলয়ের ওপর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ ডাহা মিথ্যা দাবি করে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘নির্বাচনের বছর বিধায় অভিযোগের যেমনি শেষ নেই তেমনি অভিযোগকারীরও অভাব নেই। যে যেভাবে পারছেন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে চলেছেন।’

স্থানীয় রাজনীতি ও ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে অনেক কথা বলতেও হয়। যেমন—রামু উপজেলায় আওয়ামী লীগের যা ভোট রয়েছে কেবল সেই ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়া যাবে না। তাই ভোটের জন্য দলমত বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষেরই কাজ করতে হয়। তিনি জানান, এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সবাই ভোটের প্রশ্নে তাঁর পক্ষে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে রামু বৌদ্ধ মন্দির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই কক্সবাজার সদর ও রামু এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। রামুতে স্থাপিত হয়েছে সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ডিভিশন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেললাইনসহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুত। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি রয়েছে। ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ করা হয়েছে। প্রচুর রাস্তা-ঘাট নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। রামুতে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) কেন্দ্র। তাই মানুষ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন উন্নয়নকে।

নিজের ভাই-বোনের নানা কথা প্রসঙ্গে কমল বলেন, ‘আমরা ভাই-বোনের মধ্যে অনেক মান-অভিমান হতেই পারে। এসব সাময়িক ব্যাপার মাত্র।’

এ আসনে গেলবার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণে কমল প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও কানিজ ফাতেমা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ বড্ড বিরক্ত নির্বাচিত এমপির ওপর। এমনকি তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীরাও আজ দ্বিধাবিভক্ত। এ কারণেই এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করছেন। ‘কক্সবাজারে ভোটের দিন বদলে গেছে। উন্নয়নে উন্নয়নে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর এবং রেললাইনসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পে জেলার চেহারাই যাচ্ছে বদলে। তাই মানুষের মধ্যেও পরিবর্তনের ঢেউ পড়েছে। যার প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন।’

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী পৈতৃক ছাড়াও শ্বশুর পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবেও রাজনীতির মাঠে নেমেছেন। তাঁর শ্বশুর আফসার কামাল চৌধুরী ছিলেন কক্সবাজারের তদানীন্তন মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কাবেরীর স্বামী প্রয়াত আসিফ কামাল চৌধুরী ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। কাবেরী বলেন, তিনিও দিন-রাত দলের জন্য কক্সবাজার ও রামুতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিবাদের কারণেই রামু ও কক্সবাজারে অনেক সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে এবং গতি ফিরেছে। দলীয় লোকজন ছাড়াও এলাকার মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। এ আসনে তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ও এ আসনে তারুণ্যের আলো ছড়িয়ে দিতে চান। তিনিও এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর শুধু কক্সবাজার সদর আসনে নয়, জেলার চারটি আসনেই দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করেছি। সবাই দলের মনোনীত প্রার্থীর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।’

বিএনপি

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মহাজোটের জোয়ার বয়ে গেলেও এ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল। সদালাপী হওয়ায় এবং সাধারণ মানুষ সহজেই যোগাযোগ করতে পারায় সর্বসাধারণের কাছে তাঁর রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। বিএনপি থেকে তিনিই একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে জামায়াত। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী, বর্তমান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জি এম রহিমুল্লাহ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো সংকট নেই। এ আসনে দলের কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল একক প্রার্থী হবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন।’

জামায়াতে ইসলামী

এমন একটা সময় ছিল, সকাল-বিকাল মিছিল-মিটিংয়ে সৈকত শহর কক্সবাজারের রাস্তাঘাট ব্যস্ত করে রাখত জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তাদের তৎপরতায় আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারার কর্মকাণ্ড একদম সীমিত হয়ে পড়েছিল। সারা দেশেই প্রচার ছিল পর্যটন শহর কক্সবাজার হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের কারণে স্থানীয় জনজীবনে ছিল একপ্রকার স্থবিরতা। সেই দিন এখন বদলে গেছে।

তবে ভোটের হিসাবে জামায়াত-শিবির কখনোই এখানে সবল ছিল না। আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্তির কারণেই বিগত নির্বাচনগুলোতে সুযোগ নিত জামায়াত-শিবির। বিশ্লেষকরা বলছেন, দিন দিন জামায়াত-শিবিরের ভোটব্যাংক থেকে সমর্থকরা সরে যাচ্ছে। এমনকি জামায়াত সমর্থিত রাজনীতিকরাও সরে যাচ্ছেন। কক্সবাজার শহরের জামায়াত সমর্থিত নারী নেত্রী হিসেবে পরিচিত হেলেনাজ তাহেরাও ইতিমধ্যে কৌশলে ঢুকে পড়েছেন আওয়ামী রাজনীতিতে। আবার অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াত নেতা জি এম রহিমুল্লাহ। তিনি পৌরসভা এলাকায় ভোট পেয়েছিলেন সাত হাজার। অথচ গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী সরোয়ার আলম পান মাত্র চার হাজার ভোট। সেই হিসাবে জামায়াতের ভোট দিন দিন কমছে।

কক্সবাজারের এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক।কালের কন্ঠ

পাঠকের মতামত: