ঢাকা,শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

তারাবি নামাজ নিয়ে হট্টগোল, পুলিশকে ঢিল মেরে গ্রেপ্তার ৫

সিএন ডেস্ক ::
করোনার সংক্রমণরোধে সরকারি সিদ্ধান্ত না মেনে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে কমিটি, পুলিশ ও মুসল্লীদের সাথে সংঘটিত হট্টগোলের ঘটনায় ১১ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। মূলত পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে ঢিল মারায় এ মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় ৫জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। বুধবার (১৪ এপ্রিল) এশার নামাজের সময় চান্দগাঁও আবাসিকের বি ব্লক জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত দশটার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে যাচাই বাছাই শেষে ২৫ জনকে ছেড়ে দিয়ে আরও ৬জনের নাম যুক্ত করে গভীর রাতে এ মামলাটি করে পুলিশ।

সিএমপির এডিসি (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, রাতে আটক ৩০ জনের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ২৫জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ায় নতুন করে ৬ জনসহ আটক ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে চান্দগাঁও থানার ডিউটি অফিসার এসআই সুচিত্রা দাশ জানান, মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ১১জনকে। তারা হলেন, মো. হোসেন রবিন, কফিল উদ্দিন, আলী হায়দার, মো. আমিরুল হক, ইউনুছ ইবনে ফরিদ মিয়া, আজম মো. সরওয়ার, মেহেদী হাসান, সাহেদুজ্জামান, জিয়াউদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং মাহমুদুল হক।

এদের মধ্যে মেহেদী হাসান, সাহেদুজ্জামান, জিয়াউদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।

এরআগে বুধবার এশার নামাজের সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে জোর করে চান্দগাঁও আবাসিক জামে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। প্রথম দিন মসজিদের তালা ভেঙে মুসল্লীরা প্রবেশ করলেও দ্বিতীয় দিন পুলিশ গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সদস্য ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন রাতে বলেছিলেন, আমরা সরকারি আদেশ মেনে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন খাদেমসহ স্টাফদের নামাজের ব্যবস্থা করে সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ করেছি। এমনকি আমরা কমিটির লোকজনও ঘরে নামাজ পড়ছি। কিন্তু কিছু উশৃংখল লোকজন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে শত শত মানুষকে এনে অস্থিতিশীল করছে। প্রথম তারাবির দিন মসজিদের তালা ভেঙে মসজিদে প্রবেশ করেছ। দ্বিতীয় দিনও জোর করে শত শত লোক প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। কিন্তু এসময় ওসির সাথে ধস্তাধস্তি হয়, পুলিশের গাড়িতে ঢিল মারে। এখানে আবাসিক সমিতির লোকজন নেই। চিহ্নিত জামায়াত শিবিরের লোকজনের নেতৃত্বে আবাসিকের বাইরের লোকজন এসব কাজ করছে। পরে পুলিশ প্রায় ৩০ জনকে ধরে নিয়ে গেছে। -সিভয়েস

পাঠকের মতামত: