ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফাইতংয়ে সাংগ্রাই পোয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া : পাহাড়ের সাংগ্রাই পোয়ে উৎসব অন্য বছরের তুলনায় এবারে সম্পূর্ণ রঙহীন। এই উৎসবের আনন্দটা কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে দেশ আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকার ঘোষিত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রকোপ রোধকল্পে ১৪ এপ্রিল বুধবার ভোর থেকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এ লকডাউন কঠোর ভাবে কার্যকরে বাস্তবায়ন মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন ফাইতংয়ে চলছে লগডাউন। পাহাড়ে বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির সাংগ্রাই হচ্ছে পানি খেলার মজার ও আনন্দের উৎসব। সাংগ্রাই পোয়ে এ উৎসব উপলক্ষে ফাইতংয়ে অসহায় ও দরিদ্র শতাধিক মানুষের মাঝে বিভিন্ন বস্ত্র বিতরণ করেন ফাইতং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা ও ঠিকাদার থোয়াইং সানু মার্মা।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফাইতং স্টেশনে থোয়াইং সানু মার্মার নিজস্ব কার্যালয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে এসব বস্ত্র তুলে দেন।
ফাইতং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা থোয়াইং সানু মার্মা বলেন , করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপের কারণে সরকারের নির্দেশনায় চলছে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন। সরকারের নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবারে মহা সাংগ্রাই পোয়ে উৎসব ও জলকেলি অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই এ বছর উৎসব পালন করা হবে না। মন খারাপ হলেও জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে করোনা মোকাবিলায় আমাদেরও চিন্তা করতে হবে। এর পরও এই সাংগ্রাই পোয়ে উৎসব উপলক্ষে ফাইতং বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অসহায় ও দরিদ্র নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপহার হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, চার্টসহ নানা বস্ত্র সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। করোনার এ দুঃসময়ে নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের দরিদ্র মানুষ অত্যান্ত কষ্টে রয়েছে। এমন সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব।

পাঠকের মতামত: