ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ার সোনার পাড়া বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদার

ovijog_1ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার সোনারপাড়া বাজারে সরকারী মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইজারাদার কর্তৃক বাজারে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করা আসা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদার কর্তৃক জোরপূর্বক টোল আদায়ের ঘটনা নিয়ে তোল কালাম কান্ড শুরু হয়েছে। বর্তমানে টোল আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী দৈনিক কক্সবাজারকে বলেন, স্থানীয় পণ্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারী মূল্যের চেয়ে মাত্রা অতিরিক্ত টোল আদায় করছে এমন অভিযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় জনগণের অভিযোগের বিষয়টি তিনি গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিনকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

জানা যায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনয়িনের গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজার হচ্ছে সোনার পাড়া বাজার। উক্ত বাজারে প্রতি রবি ও বুধবারে হাট বসে। সমুদ্র উপকূলীয় এ ইউনিয়নের উৎপাদিত পান, সুপারি, কাঁচা তরি তরকারীসহ ইত্যাদি উৎপাদিত পণ্য বাজারে ক্রয়-বিক্রি করা হয়।

বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য মো: নেছার খলিফা ও পান বিক্রেতা তোফাইল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, বাজার ইজারাদার সরকারী মূল্য তালিকাকে অমান্য করে ইচ্ছামত মনগড়া টোল আদায় করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে। কেউ বেশি টোল দিতে অনিহা করলে তাকে মারধর সহ নাজেহাল করে। এমনকি বিক্রি করতে আসা পণ্য কেঁড়ে নেওয়া হয়। বাজার ইজারাদার হচ্ছে ফরিদ ও ছোটন। টোল আদায়ের জন্য মূল্য তালিকা টাংঙানোর কথা থাকলেও ইজারাদার তা করেনি।

কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একটি পানের খাছি থেকে ১৫০ টাকা শুরু করে ২০০টাকা পর্যন্ত এবং সুপারি হাজারে ৩০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করছে। অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন গত মঙ্গলবার বিকেলে সোনার পাড়া বাজার পরিদর্শন করেন। এসময় পণ্য উৎপাদনকারী খুচরা বিক্রেতা অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে পূর্বের ন্যায় টোল আদায় করার জন্য ইজারাদারকে নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে গতকাল বুধবার ইজারাদার মাত্রা অতিরিক্ত টোল আদায় করেছে। এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষের আশাংকা দেখা দিলে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে বড়ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পাই।

সচেতন মহল ও নাগরিক সমাজ সোনার পাড়া বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করে স্থানীয় কৃষি জাত পণ্য উৎপাদন কারী ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

################

উখিয়ার থাইংখালীতে অবৈধ জুমচাষ করতে বিস্তৃর্ণ বনভূমি উজাড় করছে ভূমিগ্রাসীরা

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার থাইংখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ ভাবে জুম চাষ করার জন্য বিস্তৃর্ণ বনভূমিতে উজাড় করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চিহিৃত ভূমিগ্রাসীরা পাহাড়া জুড়ে জুমচাষ করতে শত শত একর বনভূমি উজাড় করে ফেলেছে। বর্তমানে যে কোন সময় আগুণ দিয়ে কাঁটানো জঙ্গল পুড়িয়ে ফেলা হবে জানিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এতে পরিবেশের মারাতœক ভারসাম্য নষ্ট হবে এমন আশাংকা করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

জানা যায়, উখিয়া রেঞ্জের অধিনে থাইংখালী বনবিটের দু চাইল্ল্যার পশ্চিম পূর্বে, ভুলুর ছড়া বাইলাখালী ও তেল খোলা বয়াংখালীতে অন্তত ৩শ একর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জঙ্গল উজাড় করা হয়েছে। জুম চাষ করার জন্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা বিস্তৃর্ণ বনভূমি উজাড় করায় শত শত বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কর্তন করেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, অল্প কয়েকদিন পর জঙ্গল কাটানো পাহাড় গুলোতে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে গাছ গাছালি পুড়িয়ে ফেলা হবে। বর্তমানে আগুণে পুড়ানোর জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।

সচেতন মহলের অভিমত স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে স্থানীয় পাহাড়ে বসবাসরত কতিপয় ব্যক্তি ও উপজাতিরা পাহাড়ে জুম চাষ করার জন্য বনাঞ্চলকে ধ্বংসের দারপ্রান্তের নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় বিস্তৃর্ণ বনভূমিতে জুমচাষের জন্য আগুণ ধরিয়ে দেওয়া হলে পরিবেশেরও মারাতœক ক্ষতি হবে। এতে হাজার হাজার প্রজাতির জৈব-বৈচিত্র বিনাশ হয়ে যাবে।

পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বনাঞ্চলে জৈব-বৈচিত্র রক্ষা এবং বনাঞ্চল বাঁচানোর জন্য থাইংখালী বনবিটে অবৈধ ভাবে জুমচাষ বন্ধ করার জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: