ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

বাল্যবিয়ে: দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার কমলেও সেই হার দক্ষিণ এশিয়াতে এখন সবচেয়ে বেশি। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, বাল্যবিয়ের হার ৫৯ শতাংশ।

দেশে ১৮ বছর বয়সের আগে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখের নারীর। বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফের ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: অ্যা প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউনিসেফ আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র এডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাল্যবিয়ের শিকার শিশুদের বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। জেলার মধ্যে শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ের হার ৭৩ শতাংশ ও সবচেয়ে কম ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রাম জেলায়।

ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজ়েন্টিটিভ ভেরা মেনডোস্কা বলেন, বাংলাদেশ বাল্যবিয়ে রোধে যথেষ্ঠ উন্নতি করেছে। বাল্যবিয়ে শুধু মেয়ে ও তার পরিবারের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্যও ক্ষতিকর।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর উন্নয়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

পাঠকের মতামত: