ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছেড়া, মারধর ও মাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ

01-6নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :::

চকরিয়ায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছেড়া, মারধর ও মাইক ছিনতাইর অভিযোগ পাওয়া গেছে । জানা গেছে , ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে  নৌকা প্রতীকের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বিএনপি  ধানের শীষ প্রার্থীর ২ কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ কর্মীসহ ৬জন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে ছিড়ে ফেলা হয়েছে ধানের শীষের পোস্টার। প্রকাশ্যে ছিনতাই করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ও প্রচার মাইক।  আটকে রেখেছে তার প্রচারকর্মীকে। এতে করে আতংকে বের হচ্ছেনা বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থীর কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টা ও বিকেল ৫টার দিকে পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থিত ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌলানা এহছানুল করিম জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর সমর্থিত কয়েকজন নির্বাচন কর্মী পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এসময় আওয়ামীলীগের তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থিত ১৫/২০জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটর সাইকেল যোগে অতর্কিত অবস্থায় গিয়ে প্রথমে পোস্টার গুলো ছিড়ে ফেলে, ওই দুইকর্মী আকবর আহমদের পুত্র হেলালউদ্দিন(৩০) ও আহমদ হোসেনের পুত্র আবুল নছরকে অমানবিক প্রহার করে। পরে স্থানীয়রা এদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রথামিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ধানের শীষ প্রার্থী এহেছানুল করিম আরও জানান, ঘটনার পর পুরো ইউনিয়ন থেকে প্রকশ্যে ধানের শীষের পোস্টার গুলো ছিড়ে ফেলে সন্ত্রাসীরা। তিনি দাবী করেন, ধানের শীষের পক্ষে কেউ যাতে কাজ না করে সেই জন্য নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী দিচ্ছে তারা। এতে নেতাকর্মীসহ তিনিও নিরাপত্তাহীনতায় দিনকাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে রিটানিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান এহেছানুল করিম( ধানের শীষ)। এ দিকে একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মাঈনউদ্দিন হাসান শাহেদ (আনারস প্রতীক) অভিযোগ করেছেন, একইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার কর্মীরা আনারস প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় ৪শত পোস্টার কেড়ে নেয় ও ৪ কর্মীকে অমানবিক প্রহার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর স্বশস্ত্র লোকজন। মারধরে আহত হন সোহেল(২৫), নুরুর আবছার(২৮), নাহিদ(৩০) ও ইউনুছ(২৭) একইভাবে বিকেল ৫টার দিকে তার প্রচার মাইক কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। লিখিতভাবে করবেন জানান সাংবাদিক মাঈনউদ্দিন হাসান শাহেদদ। ভুক্তভোগি দুই প্রার্থী এহেছানুল করিম(ধানেরশীষ) ও মাঈনউদ্দিন হাসান(আনারস) জানান, পুরো এলাকায় আওয়ামীলীগ গিয়াসউ্িদ্দনের সন্ত্রাসী লোকজন আতংক সৃষ্টি করেছে। নৌকা প্রতীকের পক্ষে ছাড়া অন্যকোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে হত্যা, গুম ও অপহরণ করার হুমকী দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে আইনশঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। উল্লেখ্য ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ২৩ এপ্রিল। এখানে বিএনপি‘র প্রার্থী ১জন, আওয়ামীলীগের ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১জনসহ ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

 

পাঠকের মতামত: