শাহেদ মিজান, কক্সবাজার ::
টেকনাফের অপহৃত ছয়জন স্থানীয়কে অপহরণ করেছিলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে তিনজনকে ছেড়ে দিলেও বাকি তিনজনেক ছাড়নি। তাদের মুক্তির জন্য ২০ লাখ দাবি করেছিলো ওই রোহিঙ্গা সন্তাসী গোষ্ঠী। টাকা না পেয়ে জিম্মি করে রাখা তিনজনের একজনকে হত্যা করেছে।
তিনি হলেন, পুত্র আকতারুল্লাহ (২৮)। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা দিকে টেকনাফে উনচিপ্রাং পাহাড়ি এলাকা নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে একদল পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হোয়াইক্যং মিনাবাজার পশ্চিম ঘোনার ক্ষেতখামার থেকে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা পাহাড় থেকে নেমে এসে ছয়জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তারা হলেন, কৃষক আবুল হাশেম ও তার দুই পুত্র জামাল এবং রিয়াজুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহেদ (২৫), মৌলভী আবুল কাছিমের পুত্র আকতারুল্লাহ (২৪) ও মৃত মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র ইদ্রিসকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারী রোহিঙ্গারা টেকনাফের পাহাড়ে অবস্থানরত সশস্ত্র রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম ডাকাত বাহিনীর সদস্য বলে অপহৃতরা মনে করছেন। ক্ষেত পাহারা দেয়াকালীন সময়ে পাহাড় থেকে রোহিঙ্গা সশস্ত্র দলটি নেমেই মুহূর্তে মধ্যে ওই গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পাঠকের মতামত: