ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় রিক অফিসের দুই এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক :: কক্সবাজারের উখিয়ায় দুই এনজিও কর্মকর্তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সহকর্মীরা। তাদের এ ধরণের কর্মকান্ডে নারী কর্মীদের চাকরি ছাড়ার উপক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নারী সহকর্মীরা। গত ২২ মে এনজিও কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও সাহেল সানজিদের বিরুদ্ধে একই এনজিওতে কর্মরত এক নারীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে উক্ত অভিযোগ পুলিশের তদন্তাধিন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এছাড়াও ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তাদের আরেক উপজাতী নারী সহকর্মীকেও ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে উখিয়ায় থানায় অভিযোগ দিলে পরে মুচলেকাদিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান তারা। এমনটা জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও বেখবর এনজিও কর্তৃপক্ষ। নারী লোভী-লম্পট এনজিও কর্মকর্তারা হলেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)’র কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও সাহেল সানজিদ। ভূক্তভোগী নারী সহকর্মীরা জানান, প্রকল্প সমন্বয়কারী সাহেল সানজিদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে নারী সহকর্মীদের কু-প্রস্তাবসহ নানা ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে লম্পট সেলিম উল্লাহ। এছাড়াও চাকুরীর নাম দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও কম নয় তাদের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী নারীদের কেউ কেউ চাকুরী পেলেও আবার বেশিরভাগ নারী নীরবে কাঁদছে নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে এমনটাই জানান স্থানীয়রা। তবে প্রকল্প সমন্বয়কারী সাহেল সানজিদ ও ট্রেনিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহর নারী প্রীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এবং এনজিও কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান ভূক্তভোগীরা। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে প্রকল্প সমন্বয়কারী সাহেল সানজিদের আসর জমে নামী-দামী মদের বারে। অন্যদিকে সেলিম উল্লাহকে মদের বারে দেখা না গেলেও নারী নিয়ে জলসা আসরে জমে কক্সবাজারের তার রঙ্গশালা। অনেক সময় মেয়ে নিয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনেও তাদের দেখা মেলে। তবে এ পর্যন্ত ভূক্তভোগী নারীরা এনজিও কর্তৃপক্ষসহ থানায় অভিযোগ করলেও সন্তোষজনক প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অনেক নারীকে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অপর অভিযুক্ত সাহেল সানজিদ মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। এ ব্যাপারে (রিক)’র সহকারী পরিচালক দীপক রঞ্জন চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক একটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহকে শোকেজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অপরজনের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। জড়িত এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: