ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মালবাহি ট্রাক, কার্ভাট ভ্যান ও এনজিওদের মাত্রা অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে কক্সাবাজার টেকনাফ লন্ডভন্ড হয়ে ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বেপরোয়া যানবাহন যাতায়তের কারণে প্রতি নিয়ত ভয়াবহ যানজটের পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কাজ এখনো শুরু করতে না পারায় সচেতন নাগরিক সমাজ চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার সকালে উখিয়ার থাইংখালী নামক স্থানে মালবাহি কার্ভাট ভ্যান উল্টে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বিকল হওয়া গাড়ি সড়িয়ে নিলে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের চরম দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতার কারণে টেকনাফ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এমন কথা জানিয়েছেন সচেতন যাত্রীরা।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন শত শত মালবাহি ট্রাক, পিক আপ, কার্ভাট ভ্যান, জিপ নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়ত করছে। এছাড়াও বাশ বোঝায় ট্রাক কক্সবাজার টেকনাফ সড়ককে লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। বিশেষ করে আইএনজিও, এনজিও এর হাজারো গাড়ি চলাচল করায় সড়কটি অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জনান, হাজার হাজার যানবাহন ও মাত্রা অতিরিক্ত চলাচলের কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। নিরাপদে কোথাও যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বড় বড় খানা খন্দকের কারণে ঘটছে দূর্ঘটনা বাড়ছে ভয়াবহ যানজট।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার কোর্টবাজার, মরিচ্যা, উখিয়া সদর, কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী সহ হ্নীলা, হোয়াইক্যং বিভিন্ন ষ্টেশনে সড়কের কোন চিহ্ন নেই বললেও চলে। ভয়াবহ যানজট ও বেপরোয়া যানবাহন যাতাযাতের কারণে প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনার শিকার হয়ে গত তিন মাসে প্রাণ হারিয়েছে ২০ জনের অধিক আহত হয়ে পঙ্গু বরণ করেছে প্রায় ৩শতাধিক যাত্রী।
সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমারের ব্যাস্তচ্যুত জনগোষ্টি আশ্রয় নেওয়া কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এ সড়কে শত শত খানা খন্দকে ভরপূরে লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও সওজ বিভাগ সংস্কারের কোন গরজ মনে করছেনা। বর্তমানে বলতে গেলে টেকনাফ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি সংস্কারের জন্য এশিয়ান ডেপলামেন্ট ব্যাংক (এডিবি) প্রায় ১”শত ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। শীঘ্রই সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
পাঠকের মতামত: