বাংলা ট্রিবিউন ::
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আকতার বলেছেন, ‘আমার স্বামী ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ইয়াবা ব্যবসায়ী নন। ইয়াবার তালিকায় তাকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখানো হলেও এর কোনও প্রমাণ নেই।’ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গে ফোনে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটি দাবি করেন তিনি।
এমপি শাহিন আকতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম কাজ শুরু করি মাদকবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে। এ কারণে এখন আত্মসমর্পণ করছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আমরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি- আপনারা যারা আত্মসমর্পণ করবেন, চলে আসেন। আত্মসমর্পণ করে ফেলুন। এ পর্যন্ত ৪০/৫০ জনের মতো ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণের প্রস্তুতির জন্য জমা হয়েছে।’
ইয়াবা গডফাদারদের তালিকায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বদির নাম রয়েছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহিন আকতার বলেন, ‘নাম আসতে পারে। কিন্তু কেউ কি প্রমাণ দিতে পেরেছেন? দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আমার স্বামী বলে দিয়েছেন, তিনি ইয়াবা ব্যবসায়ী নন। কেউ প্রমাণও করতে পারেনি তিনি ইয়াবা ব্যবসায়ী। একজন জনপ্রতিনিধিকে কেন ইয়াবা ব্যবসায়ী বলা হবে?’
তালিকায় স্বামী বদির নাম ভুলবশত উঠেছে দাবি করে শাহিন আকতার আরও বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রীরাতো বলেই দিয়েছেন তার (বদি) বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার কোনও প্রমাণ নেই। এরপরও কেন আপনারা এ প্রশ্ন করছেন?’
তালিকার বিরুদ্ধে সরকারের কাছে কোনও আপত্তি জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘সবকিছু আপনাদের বলে দিলে আমরা কী করবো’ বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
গত ২০১৮ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর দেশব্যাপী একযোগে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের করা তালিকায় কক্সবাজারে ১ হাজার ১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র টেকনাফে রয়েছে ৯১২ জনের নাম। উক্ত তালিকায় ৭৩ জন শীর্ষ মাদক কারবারি বা পৃষ্ঠপোষক রয়েছে। তালিকায় বদিসহ তার পরিবারের ২৬ জন রয়েছে। একইভাবে টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইয়াবার প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত টেকনাফেও শুরু হয় মাদকবিরোধী এ বিশেষ অভিযান। শুরুতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এ অভিযানকে তেমন একটা পাত্তা না দিলেও পরবর্তীতে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ীর গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটতে থাকলে নড়েচড়ে বসে সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা কারবারিরা। এরপর চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গাঁ ঢাকা দিতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, আবদুর রহমান বদি ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে পর পর দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কক্সবাজার এবং টেকনাফে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার কথা উঠলেই আবদুর রহমান বদির নাম উঠে আসে। ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালানে বদি ব্যাপক আলোচিত।
প্রকাশ:
২০১৯-০১-২৪ ১০:২৬:৫৮
আপডেট:২০১৯-০১-২৪ ১০:২৬:৫৮
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
পাঠকের মতামত: