ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
কক্সবাজার-০৪ উখিয়া টেকনাফ সংসদীয় আসনের বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর ধানের শীষ মার্কার শেষ নির্বাচনী জনসভা পথে পথে পুলিশ ও প্রসাশনের ব্যাপক বাধাঁর মুখেও জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কোর্টবাজার উত্তর ষ্টেশনে ধানের শীষ মার্কার শেষ নির্বাচনী পথসভাটি করার কথা থাকলেও প্রসাশনের বাধাঁর মুখে নির্ধারিত স্থানে করতে পারেনি। বেলা ১১টায় জানানো হয় কোর্টবাজার-সোনার পাড়া সড়কের জালিয়া পালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবশেষে পথ সভাটি করার অনুমতি পায়।
দুপুরের পর থেকে গ্রাম-গঞ্জ থেকে ধানের শীষ মার্কার খন্ড খন্ড মিছিল আসতে শুরু করে। মিছিলের পর মিছিল ও ধানের শীষের সমর্থকরা দলবদ্ধ ভাবে সমাবেশ স্থলে জমায়েত হয়। সমাবেশের আগেই মাঠের চারদিকে লোকে লোকারন্য হয়ে ভবণের ছাদে ও গাছের ঢালে পর্যন্ত ধানের শীষের সমর্থক ও ভোটারগন দেখা যায়। বিশেষ করে নারী ভোটার গনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
চার চার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের জন্য কিছুই করেনি। শুধু মানুষের সেবা করার জন্য আমি কাজ করে গেছি। আপনাদের ভোটে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন কালে উখিয়া টেকনাফে কলেজ প্রতিষ্টতা সহ অসংখ্য স্কুল মাদ্রাসা চালু করেছি। সড়ক সহ বহু ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম টেলিফোন সহ বিদ্যুৎ আমার আমলেই উখিয়া টেকনাফে চালু করা হয়। আমার এ বয়সে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে শেষ বারের মত সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সকল ভোটার প্রতি বিনিয়ের সহিত আহবান জানান সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকা কালে কখনো অনিয়ম দূর্নীতি সহ সরকারী অর্থ আত্বসাৎ করিনি। অথচ বর্তমান সাংসদ আবদুর রহমান বদি দূনীতির মামলায় তার সাজা হয়েছে এবং অনেক দিন জেল হাজতে থাকতে হয়েছে। ইয়াবার পৃৃষ্টপোষক ও গডফাদার হিসাবে দেশ-ব্যাপি তার খ্যাতি রয়েছে।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ বদির নিদের্শেই গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও অফিস ভাংচুর করে সাজানো ঘটনা সাজিয়ে টেকনাফ থানার ওসি ও উখিয়া থানার ওসি ১০টির মত মিথ্যা মামলা করে দেড় হাজারের অধিক বিএনপি, যুবদল ও ছাত্র দলের নিরহ নেতা-কর্মীদেরকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাকেও কোথাও নির্বাচনী গনসংযোগ, প্রচারণা ও পথসভা করতে দেয়নি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে কারা বন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে।
রফিক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত নির্বাচনী জনসভায়, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি সড়কে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বাহিনী ব্যারিকেট দিয়ে ধানের শীষের সমর্থকদের জনসভায় আসতে বাধাঁ দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের নিরহ নেতা-কর্মীদেরকে মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। যানবাহনও বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিশ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মৌলানা নুরুল আলম আল-মামুন, উখিয়া জামায়াতে ইসলামীর উখিয়া উপজেলা শাখার আমির মৌলানা আবুল ফজল, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সিকদার, রত্মাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সদস্য এডভোকেট আব্দুল মান্নান, সাবেক সাংসদের মেয়ে এডভোকেট নাজিয়া জাহান শম্পা, বিএনপি নেতা দলিলুর রহমান শাহিন, মেম্বার সাইফুল্লাহ সিকদার, শাহজাহান আলী, মহি উদ্দিন মেম্বার, মেম্বার ফজলুল কাদের চৌধুরী, রফিক উদ্দিন মেম্বার, এম গফুর উদ্দিন, আবুল হোছন মেম্বার, জামাত নেতা মৌলানা রাহমত উল্লাহ, এডভোকেট শাহ আমিন চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি আহসান উল্লাহ, সহসভাপতি সাইফুল রহমান সিকদার, উখিয়া ছাত্র দলের আহবায়ক আরফাত চৌধূরী, যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল আমিন, মোরশেদুল হক ভূট্টো, উখিয়া উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব রিদুয়ানুর রহমান জেলা যুবদলের সদস্য মাহফুজ উদ্দিন বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরীর ছোট ভাই কামাল মাহমুদ চৌধুরী, আবু তাহের প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: