আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে আরও দুই শতাধিক রোহিঙ্গা দেশের ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় আছেন। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যেই সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ দেশে নিরাপদে আশ্রয় নিতে আরও কয়েকশ রোহিঙ্গা সীমান্তে অপেক্ষা করছে। খবর আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।
টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে দুইশোর বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ইতোমধ্যেই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। তারা ওই এলাকায় কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
বিজিবি ছাড়াও নাফ নদে টহল দিচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা জারি রয়েছে।
লেদা শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা আব্দুল মোতালেব মাতের বলেন, তিনি তার পরিবার এবং মিয়ানমারে থেকে আসা অন্যদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন যে, নাফ নদের পূর্ব পাশে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নতুন করে নির্যাতন-নিপীড়ন চালালে তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তে অপেক্ষা করছেন।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কিছু সেনাপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনারা। অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়, নারীদের ধর্ষণ করা হয়, নির্বিচারে গুলি করে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়। ফলে আতঙ্কিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ওন্তারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ওআইডি) জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে ১ লাখ ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বর্বরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৭ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী এবং কিশোরীকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর অভিযানের পর সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে ধর্ষণ ও গণধর্ষণসহ ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়ায় উপকুলের সাগর চ্যানেলের ট্রলার থেকে ৩৮ কোটি টাকা মূল্যের ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
পাঠকের মতামত: