গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :
তথ্য সুত্রে জানা যায় ৩০ জুলাই বিকাল ৫ টায় টেকনাফ একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা স্থলবন্দরে অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করল ৫ ভরি স্বর্ণ।
তবে স্বর্ন পাচারকারীরা আড়ালে থাকায় তাদেরকে আটক করতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
জানা যায়, বৈধ ব্যবসার আড়ালে একজন রোহিঙ্গা হ্যাপি নামে একটি চায়ের প্যাকেট হাতে নিয়ে বন্দর থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল।
গোপন সংবাদ পেয়ে বন্দর গেইটের ভিতর অবস্থান নেয় গোেয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চায়ের প্যাকেটটি ফেলে আড়ালে চলে যায় যুবকটি।
অভিযানকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, টেকনাফ স্থলবন্দরের বেশ কিছু চিহ্নিত ব্যাবসায়ী তাদের বৈধ ব্যাবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সু-কৌশলে মাদক,স্বর্ন ও নানা প্রকার অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন আমরা সঠিক তথ্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।
খুব শীঘ্রই আড়ালে থাকা সেই সমস্ত মুখোশদারী ভদ্রবেশী চোরাকারবারীদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে আসা টেকনাফ স্থল বন্দরের ৮০ ভাগ ট্রলারে আসে মরণনেশা ইয়াবা ও স্বর্ণ। এসব ইয়াবা ও স্বণের চালান মাঝ সাগরে অপেক্ষমান ফিশিং ট্রলারে পাল্টিয়ে দেওয়া হয়। আবার কিছু কিছু চালান সরাসরি পণ্যের ভিতর করে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে চালান হয়ে যায় দেশের অভ্যন্তরে।
এভাবে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে পাচার হওয়া আচারের বস্তার ভিতর সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছিল র্যাব সদস্যরা। যা সেসময় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সেই ধারায় বর্তমানে কাঠ, মাছ ও অন্যান পণ্যের সাথে ইয়াবা চালান চলে আসছে স্থল বন্দর দিয়ে এমন দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সোমবার টেকনাফ স্থল বন্দর হতে স্বর্ণের চালান উদ্ধার করাই সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: