ঢাকা,বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ক্রসফায়ারের ভয়ে একযোগে আত্মসমর্পণের গুঞ্জন

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ::
সুন্দরবনের ন্যায় অবশেষে টেকনাফ সীমান্তের মাদক ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর মাদক নির্মুলের ঘোষণার প্রতি একাতœতা পোষণ করে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং জীবদ্ধশায় মাদক নামক অপকর্ম পরিত্যাগে একযোগে রাষ্ট্রের কাছে আতœসমর্পণ করার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আতœসমর্পণপূর্বক সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব করবেন বলে লোকে মূখে আলোচিত হচ্ছে গোটা সীমান্ত এলাকা জুড়ে। টেকনাফ সীমান্তের মাদক ব্যবসায়ীদের ঘনিষ্ঠ আতœীয়-স্বজন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি এবং মাদক নির্মুলের প্রতি টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অবশেষে দৃঢ় চিত্তে এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। কয়েকজন শীর্ষ তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর ঘনিষ্টজনেরা বলেন, সূন্দর বনের জলদস্যূরা যেমন অস্ত্র সমর্পনের মাধ্যমে একযোগে আতœসমর্পণ করে অপরাধ ও অপকর্ম ত্যাগ করে ভাল হয়ে গেছেন, তেমনিভাবে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এপথ অনুসরণ করে একযোগে আতœসমর্পণ করে সাধারণ ক্ষমার জন্য ওরা প্রত্যাশা পোষন করছেন। এ পরিবেশ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে সীমান্ত এলাকাজুড়ে মাদক পাচার ও ব্যবসা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা পোষণ করছেন অনেকেই। সচেতন মহলের মতে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ ব্যবস্থা মাদক নির্মুলে প্রধান কাজ নয়। নাগরিক হিসাবে সকল পেশাজীবি লোকদের মাদক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন মাদক ব্যবসায়ী খুন হবার পর অবশেষে মাদক ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যতে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত ওরা রাষ্ট্রের কাছে আতœসমর্পণের প্রস্তÍতি নিচ্ছে বলে লোকে মূখে শুনা যাচ্ছে। সুন্দর বনের ন্যায় একযোগে জলদস্যুরা যদি আতœসর্ম্পন করে ভাল হয়ে যেতে পারে, তদ্রুপ টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীরা কেন এ সুযোগ পাবেনা ? তারা আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে একযোগে আতœসমর্পণ করে ভবিষ্যতে মাদককে চিতরের জন্য ‘না’ বলে এবং মাদক প্রবেশ প্রতিরোধে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করবে মর্মে রাষ্ট্রের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে বলে প্রত্যাশা নিতে প্রস্তুত শোনা যাচ্ছে। এ প্রস্তাব নিয়ে ওরা কাজ করে যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: