ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালি-কুতুবদিয়ায় ইউপি নির্বাচন নৌকার মাঝি হতে চায় বিএনপি-জামায়াত

up elতুষার তুহিন, কক্সবাজার :
২২ মার্চ মহেশখালি ও কুতুবদিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।  এবারের নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। এতে নৌকা প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি -জামায়াত রাজনীতি সাথে যুক্ত একটি মহল। এ জন্য তারা বিভিন্নভাবে উপজেলা সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে লবিং করছেন। এমনকি মহলটি নানা ফন্দি এটে কেন্দ্রীয় আ’লীগের বিভিন্ন নেতার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলেও দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। মহেশখালির দুটি ইউনিয়নে ৩ জন  ও কুতুবদিয়ার ৩ টি ইউনিয়নের ৩ জন প্রার্থী এক সময় বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল বলে আওয়ামীলীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা দাবী করেছেন।
আ’লীগের তৃনমূল সূত্র জানায়, মাস দেড়েক আগে ছোট মহেশখালির জামায়াত নেতা ফরিদুল ইসলাম আ’লীগে যোগ দেন। তবে তার কোন পদ-পদবী নেই। যোগদানের পর থেকেই তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেন। এরপর আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেতে নানাভাবে তদবীর শুরু করেন। সর্বশেষ গতকাল কক্সবাজার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে তার কাগজপত্র জমা দেন।
একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ। যিনি  ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। কোনকালেই তার সাথে আ’লীগের কোন সম্পর্ক ছিলনা। এখনও নেই।  অথচ সেই তিনি এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য লড়ছেন। তিনিও গতকাল মনোনয়ন বোর্ডের কাছে তার বায়োডাটা জমা দিয়েছেন।
এছাড়া কালারমারছড়া ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন বিএনপি ক্যাডারের সহধর্মিনী। কালারমারছড়ার আলোচিত আ’লীগ নেতা ওসমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মুজিবুল্লাহ বাদলের হত্যাকারী বিএনপি ক্যাডার নুরুল হক।  সেই তিনি তার সহধর্মিনী শাকিলা বেগমের পক্ষে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ চেয়েছেন। তবে মনোনয়ন বোর্ড তার বায়োডাটাটি গ্রহণ করেনি।
যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের দেহরক্ষী আকতার হামিদের ভগ্নিপতি কুতুবদিয়ার লেমশিখালি আকতার কামাল। একসময় তিনিও ছিলেন জামায়াত নেতা। তবে উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে তাকে সহ- সভাপতি হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় আ’লীগ ওই নামটি তালিকা থেকে বাদ দেয়। এটি কয়েকদিন আগের ঘটনা। এরপর ওই জামায়াত ক্যাডার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার কৌশল আটে। এতে অনেকটা সফল কামও হয়েছেন। তার নামটি আ;লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রেখেছেন উপজেলা আ’লীগ।একই উপজেলা উত্তর ধুরুং সিরাজদ্দোল্লা । যার ভাই ও আতœীয়স্বজন সবাই বিএনপির -জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তবে তিনি রাজনীতি করতেন। কিন্তু বছর তিনেক আগে আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিতে শুরু করেন। আর এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের ওই সদস্য নৌকা প্রতীক চেয়েছেন।
জামায়াত নেতা মহেশখালি-কুতুবদিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমানের আজাদের নিকাটাত্মীয় কৈয়ার বিলের আজমগীর মাতব্বর। তিনি নিজেও একসময়  ছিলেন জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার। তার ছোট ভাই সেলিম চট্টগ্রামের ছাত্রলীগের আট নেতা হত্যা মামলার আসামী। তার বড় ভাই আওরঙ্গজেব হামিদ রহমান আজাদের ভায়রা । তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অপরাধে মামলা রয়েছে। অথচ শিবিরের সেই দূর্ধর্ষ ক্যাডার আজমগীর মাতব¦র নৌকার মাঝি হতে চাচ্ছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। এই প্রতীক পাবেন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকেরা। যদি কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে জামায়াত- বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমান যাওয়া যায়। তবে তার নৌকা প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

পাঠকের মতামত: