ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

খাদ্য সংকট: আসছে আরো ছয় হাজার রোহিঙ্গা

উখিয়া প্রতিনিধি ::

২৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় ১২ শতাধিক রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় প্রত্যাবাসনে আগ্রহ হারাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা নির্যাতনের কৌশল পরিবর্তন করে সেখানে কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে। খাদ্যাভাবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে। গত সাতদিন নাফ নদীর ওপারে গর্জনঢিয়া, দনখালী ও নাইক্ষ্যংঢিয়া এলাকায় প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।

গত সোমবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করে বলেন, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া একটু বিলম্বিত হচ্ছে। বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠী এখনো রোহিঙ্গাদের মানসিক নির্যাতন করছে।

গত সোমবার মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংঢিয়া থেকে নাফ নদী পার হয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আসা আব্দুল নবির (৪৫) জানান, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় মিয়ানমার সেনারা নির্যাতনের কৌশল পরিবর্তন করে রোহিঙ্গাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না সেনাবাহিনী।  হাটবাজারে যাওয়া-আসা করতে পারছে না। বাড়ি বাড়ি এসে এনভিসি কার্ড নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। যারা নিজ উদ্যোগী হয়ে এনভিসি কার্ড নিচ্ছেন তারা কোনো রকম চলাফেরা করতে পারলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা গৃহবন্দি। পড়েছে  খাদ্য সংকটে।

রোহিঙ্গা মাঝিদের অভিমত টেকসই ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে শুরু করলে ওপার থেকে রোহিঙ্গা আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তা না হলে রোহিঙ্গারা আসতেই থাকবে।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (যুগ্ম সচিব) কমিশনার আবুল কালাম জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিবারভিত্তিক তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। যে কারণে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: