ঢাকা,বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে দুর্ধর্ষ হাকিম ডাকাতের নির্যাতনে মানুষ অতিষ্ট

জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ :

টেকনাফে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা আব্দুল হাকিম ডাকাতের ভয় ও নির্যাতনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট।এক যুগ আগে হাকিম ডাকাত মিয়ানমার মংডু বড়-ছড়া গ্রাম থেকে চলে এসে টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়া পাহারের ভিতর আশ্রয় নেয়।এরপর আস্তে আস্তে গড়ে তুলে বিশাল একটি সশস্ত্র ডাকাল দল।তার বাহিনী এলাকার ধনীর ছেলেদের আটক রেখে মোটা অংকের টাকার বিনিময় মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়।অন্যের বাড়ি-ঘর,জায়গা-জমি দখল,ডাকাতি,চুক্তিতে চিংড়িঘের দখল কাউকে খুন করা এটায় হাকিম ডাকাতের মুল কাজ।এলাকায় মানুষের উপর নির্যাতন করে সেই গড়ে তুলেছে ধন,সম্পদ এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক।টাকার প্রয়োজন হলে ধনীর আদরের ছেলেদের অপহরণ করলে চলে আসে লক্ষ লক্ষ টাকা।এবং থানায় তার বিরুদ্ধে একাধীক মামলাও রয়েছে।

সর্বশেষ ১১ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় টেকনাফ নাইট্যং পাড়া জহির আহমদের পুত্র জালাল আহমদ(২২)কে রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের লোকজন অস্ত্রে মুখে অপহরণ করে পাহাড়ে ভিতর নিয়ে যায়।যুবকের আত্ময়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করেন হাকিম ডাকাত।অপহ্নত যুবক জালাল আহমদের আত্মীয়স্বজনরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারে হাকিম ডাকাতের পাহাড়ের ভিতর আস্তানায় অভিযানে যায়।হাকিম বাহীনীর দলবল পুলিশে উপস্থিত জানলে বৃষ্টির মত পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে।পুলিশ আত্মরক্ষার্থে প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন।

দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধের পর হাত,পা বাধা অবস্থায় ভিকটিম জালাল আহমদকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত যুবকের শরীল নির্যাতনের আঘাতে ক্ষত হয়ে গেছে।পুলিশ ভিকটিমকে অনেক চেষ্টার মাধ্যমে উদ্ধার করতে পারলেও হাকিম ডাকাতকে আটক করতে পারেনি।তবে পুলিশ হাকিম ডাকাতের আস্তানা থেকে ২টি এলজি,৫ রাউন্ড গুলি দা ও চুরি পায়।এসময় টেকনাফ মডেল থানার ৩পুলিশ গুরুতর আহত হয়।আহতরা হলেন,এসআই মাহির খান,কনেষ্টেবল মোঃ রফিক ও মোঃ রশিদ।

উক্ত অপহরণের ঘটনায় অভিযানের নেতৃত্বদেন টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ(ওসি)মোঃ মাইন উদ্দিন খান।টেকনাফ পুরান পল্লান পাড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় আংতকের একটি নাম রোহিঙ্গা আব্দুল হাকিম ডাকাত।আইন শৃংখলাবাহীনি তাকে আটকের জন্য বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।সেই বিশাল যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।কোন ব্যক্তি পাহাড়ের ভিতর তার আস্তায় প্রবেশের চেষ্টা করলে তার কাছে মুহুর্তের মধ্যে খবর পৌছে যায়।থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা,অপহর,অস্ত্র,ডাকাতি সহ ১০টির মত মামলা রয়েছে।স্থানীয়দের একটায় দাবি রোহিঙ্গা আব্দুল হাকিম ডাকাতকে আটক করা।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি)মোঃ মাইন উদ্দিন খান বলেন,রোহিঙ্গা আব্দুল হাকিম ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায়,হত্যা,অস্ত্র,ডাকাতি,অপহরণ মামলা রয়েছে।আমাদের সাথে গতকালও অপহরণের ঘটনা নিয়ে আব্দুল হাকিম ডাকাতের সাথে গুলিবিনিময় হয়। অল্পের জন্য থাকে আটক করা সম্ভম হয়নি।কারণ বিভিন্ন স্থানে তার র্সোস রয়েছে।কোন লোক হাকিম ডাকাতের এলাকায় প্রবেশ করলে সেই আগে থেকে খবর পেয়ে যায়।আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাকে আটক করার জন্য।

পাঠকের মতামত: