মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::
চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লামায় কর্ম বিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, লামা শাখা। সোমবার (১লা জানুয়ারী) লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্ম বিরতি পালন করে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্ম বিরতি চলবে বলে ঘোষণা দেয়।
হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লামা শাখার সভাপতি মুসলেম উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া গুটিবসন্ত, পোলিও নির্মূলে তথা বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। তাদের ইপিআই কার্যক্রমের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্ব রোল মডেল হয়েছে। যুক্তিক বিবেচনায় উপস্থাপিত চার দফা দাবি গুলো আমরা পাওয়ার দাবি রাখি। দাবি গুলো হল: বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদের মর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠ-ভ্রমণ ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, প্রতি ৬ হাজার জনসংখ্যা বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দান ও ১০শতাংশ পোষ্য কোটা প্রবর্তন করা।
হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লামা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য সহকারীদের মহা সমাবেশে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন বৈষম্য নিরসনে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, অর্থ, জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কমিটির অনূকূল সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও আদৌ তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমাদের চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আজ ১ জানুয়ারি থেকে ইপিআই কার্যক্রম সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন লামা শাখার সভাপতি মুসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারী উশাইমং মার্মা, ফিলিপ মুরুং, শাহীনা বেগম, দিলদার বেগম, রাহনুমা বেগম, শেলী বড়–য়া, আনু মার্মা সহ প্রমূখ।
পাঠকের মতামত: