ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বার্মার রাখাইনে গণকবর পাওয়ার পর তদন্ত শুরু

অনলাইন ডেস্ক ::   মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর রাখাইনে একটি গ্রামের পাশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে এবং এবিষয়ে তারা তদন্ত শুরু করছে।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নৃশংসতা চালানোর জন্য জাতিসংঘ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
মিয়ানমারের সেনা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন মংডুর এক গ্রামের কবরস্থানে পরিচয়বিহীন এই মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে এটি তার অন্যতম।
তবে কত লাশ সেখানে পাওয়া গেছে এবং তারা কোন্ সম্প্রদায়ের মানুষ তা বলা হয়নি।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যদি নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস্ উইদাউট বর্ডারস্ গত সপ্তাহে এক আনুমানিক হিসাবে জানায় মিয়ানমারে গত অগাস্টে সন্দেহভাজন ইসলামী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করার পর প্রথম মাসের সহিংসতায় অন্তত ৬৭০০ রোহিঙ্গা মারা যায়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোনরকম নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে শুধু জঙ্গী গোষ্ঠি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির সদস্যদের লক্ষ্য করে তারা অভিযান চালিয়েছে।মিয়ানমারে ২৫শে অগাস্ট দেশটির সেনাবাহিনী তাদের সহিংস অভিযান শুরু করার পর সেনা বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জাইদ রাদ আল হুসেইন ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা তাদের বিভিন্ন রিপোর্টে মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হত্যা, গণধর্ষণ ও রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছে।
আমেরিকাও বলেছে এসব নির্যাতন “এথনিক ক্লেনসিং” বা “জাতিগোষ্ঠি নিধনের” সামিল।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার কারণে দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে সংহিসতার ফলে রাখাইনের যে কয়েক হাজার স্থানীয় বৌদ্ধ ও হিন্দু জনগোষ্ঠি দেশের ভেতরে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে গেছে। বিবিসি

পাঠকের মতামত: