ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

maysenaঅনলাইন ডেস্ক :::

মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা সাধারণ রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করছে। গণহত্যা করছে। গণধর্ষণের আগে-পরে নৃশংসতা চালাচ্ছে। নিপীড়ন চালাচ্ছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার কারণে অগণিত মানুষ মারা যাচ্ছেন এবং বন্যার পানির মতো বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে টার্গেটেড অপরোধ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ ছাড়া মিয়ানমারে আক্রান্ত এলাকায় জনগণের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়া উচিত নিরাপত্তা পষিদের। আক্রান্ত এলাকায় নির্যাতনের তদন্তে জাতিসংয়ের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার দাবি জানাতে হবে। একই সঙ্গে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাদেরকে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ঘরে ফেরার অনুমতি দিতে হবে। এ ছাড়া যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনকি তাদের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে উন্মুক্ত বিতর্ক হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। তার আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের সুপারিশ নতুন করে তুলে ধরল। এর আগেও কয়েকবার একই আবেদন জানিয়েছে তারা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের লিগ্যাল ও পলিসি বিষয়ক পরিচালক জেমস রস বলেছেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে রোহিঙ্গাদের বহিষ্কার করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংসতার আশ্রয় নিয়েছে। তারা গণহারে গ্রামগুলোতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। গণহারে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবাড়ি ছাড়তে। এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আন্তর্জাতিক আইন ও ক্রিমিনাল অ্যাক্টে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংজ্ঞায়িত রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যদি কোনো বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক ও পর্যায়ক্রমিক হামলা চালানো হয় তাহলে তা মানবতা বিরোধী অপরাধ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপকভিত্তিক ও পর্যায়ক্রমিক অপরাধ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া মানবতার বিরুদ্ধে সেই সব অপরাধ পড়ে যা হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জুরিসডিকশনের অধীনে পড়ে। বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন জুরিসডিকশনের অধীনে পড়ে। এর অর্থ হলো মিয়ানমারে অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার দেশের বাইরের আদালতে করা যেতে পারে। হিউম্যান রাইটস স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখতে পেয়েছে, অসংখ্য মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। গণহারে নৃশংস উপায়ে হত্যা করা হয়েছে। গণধর্ষণ করা হয়েছে। অন্যান্য যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। নিষ্পেষিত হয়েছেন রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘ একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

পাঠকের মতামত: