ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

লামায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ৮ হাজার পরিবার ॥ পৌছাঁয়নি সরকারী সহায়তা

Photo 31.05.17 (1)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

মঙ্গলবার লামা উপজেলায় আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এসময় ৩ হাজার ৬৫০টি পরিবার বেশী ও ৪ হাজার ১শত পরিবার আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন লামা উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ে বিধস্ত লোকজন জানায়, এখনো তারা সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পায়নি। ফলে খাদ্য অভাব ও পানীয় জলে কষ্ট পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বিধস্ত লামা উপজেলাকে দেখতে বুধবার দুপুরে লামায় আসেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক। এসময় তিনি ঘূর্ণিঝড়ে গাছ চাপা পড়ে নিহত ক্যসিং থোয়াই মার্মার পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। একই সাথে লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী নিহতের পরিবারকে আরো ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সরজমিনের ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে লামা-চকরিয়া-আলীকদম রোডের দু’পাশের গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ‘মোরা’র আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায় এবং প্রচুর স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৫/১০ দিন লাগতে পারে বলে জানায় লামা বিদ্যুৎ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রচন্ড বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া কাঁচা-পাকা বাড়ির লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে জানায়, শুধু পানি খেয়ে তারা রোজা রেখেছে। স্থানীয় জন-সাধারণকে স্ব-উদ্যোগে রাস্তায় উপর ভেঙ্গে পড়া গাছপালা অপসারণ করতে দেখা যায়।

বুধবার দুপুর ১টায় লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনের বলেন, লামা পৌর এলাকায় ১ হাজার পরিবার সম্পূর্ণ বিধস্ত ও ১ হাজার পরিবার আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতির শিকার হয়নি এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সব মিলিয়ে শুধু লামা পৌরসভায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, এখনো কোন প্রকার ত্রাণ আমাদের কাছে পৌছায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, দ্রুত সরকারী সাহায্য ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌছানো হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের নামে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: