মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :::
লামার সদর ইউনিয়নের ছোট বমু এলাকার এক উপজাতি কিশোরী অপহরণের ৮দিন পরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে লামা থানার পুলিশ। লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের পর থেকে পুলিশ অপহরণকারীদের মোবাইল ট্রেকিং সহ পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখে অবশেষে ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় অপহৃতের বাবা থুইছাচিং মার্মা বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ৩জনকে আসামী করে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে। লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী অফিসার খালেক মোশারফ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। একই অভিযানে শুক্রবার রাতে মামলার মূল আসামী মোঃ সোহেল কে আটক করে পুলিশ। সোহেল পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
শুক্রবার রাতে লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ২২ ধারায় মেয়েটির জবানবন্ধী নেয়া হয়। আদালত শনিবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে লাঠিসোঠা ও দারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরের ছেলে সোহেল সহ সাথে আরো দু’জন ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার ঘরে রক্ষিত বাগান বিক্রয় ও ঋণ বাবদ তোলা ৯২ হাজার টাকা ও আট আনা ওজনের একটি সোনার চেইন নিয়ে যায়। ভিকটিম ছোট বমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
পাঠকের মতামত: