যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ইরাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সোমবার ইরাকের পার্লামেন্টে ভোট প্রদান করেছে দেশটির আইনপ্রণেতারা। ইরাক নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা উঠিয়ে না নিলে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে ইরাকের পার্লামেন্ট সদস্যরা জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
গত শুক্রবার পেন্টাগনে জারি করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-বিষয়ক নির্বাহী আদেশে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সুদান- মুসলিমপ্রধান এই সাতটি দেশের নাগরিক অথবা অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসার আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
ইরাকের পার্লামেন্টের একজন সদস্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে ইরাকের পার্লামেন্ট সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
সাংসদ হাকিম আল-জামালি বলেছেন, ইরাক সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অধিকাংশ সাংসদ ভোট দিয়েছেন।
সাদিক আল-লাবান নামে আরেকজন সাংসদ নিশ্চিত করে বলেছেন, পাল্টা পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতেই এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লাবান বলেন, ‘আমরা মার্কিন নতুন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।’
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে শরণার্থীদের আটকে দেয়া হচ্ছে, লোকজন বিক্ষোভ করছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পাঠকের মতামত: