সাতটি মুসলিম দেশের শরণার্থী এবং অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি এবং লুক্সেমবার্গ।
লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবোর্ন বলেছেন, ট্রাম্পের এই আদেশ নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
জার্মানির একটি পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম বিশ্বকে ভালো এবং খারাপে বিভক্ত করে ফেলেছেন। এটা ইউরোপের জন্য কুফল বয়ে আনবে। তাছাড়া এই নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমাদের প্রতি মুসলিমদের অবিশ্বাস এবং ঘৃণাও বেড়ে যাবে।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাবরিয়েল, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার্ক আইরাল্ট এবং লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবোর্নের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার মুসলিম দেশগুলো থেকে শরণার্থী এবং অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ওপর একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরকালে সিরিয়ার খ্রিস্টানদের প্রতি নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি থেকে পালিয়ে আসা খ্রিস্টানদের বিষয়ে গুরুত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সম্পর্কে আইরাল্ট বলেন, ‘এটা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। এটা ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। যুদ্ধ-বিধ্বস্তপ্রবণ দেশগুলো থেকে যারা পালাচ্ছে তাদের স্বাগত জানানো আমাদের কর্তব্য।’
২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১০ লাখের বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। ফ্রান্সও বহু শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাবরিয়েল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে খ্রিস্টান সংস্কৃতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। নিজের প্রতিবেশিকে ভালোবাসা এবং মানুষকে সাহায্য করা খ্রিস্টান ধর্ম এবং নীতির প্রধান অংশ। এটাই আমাদের পশ্চিমাদের একত্র করেছে। আমার মনে হয় এটাই আমাদের আমেরিকানদের কাছে পরিস্কার করা উচিত।’
পাঠকের মতামত: