বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্যেশ্য করে বলেছেন, জনগণকে হৃদয় থেকে ভালবাসতে শিখুন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করুন। তা না হলে ব্যালটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে জনগণ। দলকে সুসংগঠিত করুন, দলের মধ্যে অন্তর কলহ যেন না থাকে।
তিনি গতকাল ৩০নভেম্বর দুপুরে বান্দরবানের পর্যটন স্পট চিম্বুক পাহাড়ের চূড়ায় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র ইসলাম বেবী’র সঞ্চলনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুল হক। কর্মী সমাবেশে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন; দেশে এখনো সাম্প্রদায়িক শক্তি কাজ করছে। অভিযানের মুখে তারা দুর্বল হয়ে গেছে ভেবে আমরা যদি আত্মতৃপ্তি পাই ভুল হবে। তারা তলে তলে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় আঘাত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে ইয়াবা ঢুকে গেছে। ইয়াবা যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। দলমত নির্বিশেষে ইয়াবা প্রতিরোধ করতে হবে। পাহাড়ে অনেক অবৈধ অস্ত্র আছে। অবৈধ অস্ত্র মুক্ত বলা যাবে না। যারা শান্তি নষ্ট করতে চাই তাদেরকে বলল, এই অস্ত্র একদিন উল্টো তাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে। অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে শান্তির পথে আসতে হবে। শান্তির জন্য চাকরী ব্যবস্থা করবে সরকার। পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যে মা গর্ভে ধারণ করে সন্তান প্রসব করে, সেই মায়ের দরদ থাকে সন্তানের প্রতি বেশী। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে আগেও কেউ ভাবেনি, পরেও কেউ ভাববে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। নেত্রীর মতো আর কেউ চিন্তা করে বলে মনে হয় না। পাহাড়ে সড়ক ও সেতু উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মতো করে অন্য কোনো সংস্থা করতে পারবে না। পার্বত্য অঞ্চলে সুন্দরভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন সেতুমন্ত্রী। সেনাবাহিনীর কল্যাণে পার্বত্য অঞ্চলে সড়ক উন্নয়নে পরিবর্তন এসেছে। বুধবার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে চিম্বুক সড়কের ওয়াই জংশনে নামেন। তার সঙ্গে সফর সঙ্গী ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। সেখানে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানান দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, এএসপি আরাফাতসহ অন্যান্য অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামীলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানাতে ওয়াই জংশন থেকে চিম্বুক পাহাড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কর্মী সমাবেশের পূর্বে চিম্বুক রেস্ট হাউজে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বরইতলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আলম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, উপজেলা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক, ফাঁিসয়াখালীর সভাপতি শাহাব উদ্দিন মেম্বার, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন। সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। #
পাঠকের মতামত: