অনলাইন ডেস্ক॥
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সেখানে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ৩৫০ জন নিহত হয়েছে। বহু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে নারকীয় এক পরিস্থিতির।
রাখাইন নেতা নূরুল ইসলাম বলেন, সেখানে এমন অত্যাচার চলছে, যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, সে চিত্রটা আরও অনেক বেশি ভয়াবহ। সেনাবাহিনী বিভিন্ন পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলছে। ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে লোকজন যখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, তখন হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলিবর্ষণ করে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যেখানে গিয়ে লুকাচ্ছে, সেখানে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথেঘাটে, খালে নদীতে তাদের মেশিনগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, লোকজন নৌকায় করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চাইলে তাদের নৌকার ওপর গুলি করা হচ্ছে। যাদের নিরাপত্তা নেই, তাদেরকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেয়া উচিত। না হলে এই লোকগুলো যাবে কোথায়? মনে করুন, আপনার ঘরে যদি আগুন জ্বলে তখন প্রতিবেশীর বাড়িতে আপনার আশ্রয় নিতে হবে। এজন্যে আপনাকে তো কোনো অনুমতি নিতে হবে না।
নুরুল ইসলামের এসব দাবি অবশ্য নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কারণ দেশটির সরকার কোনো সাংবাদিককেই মিয়ানমারের সহিংসতা কবলিত রাখাইন রাজ্যে যেতে দিচ্ছে না। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানে রাখাইন রাজ্যে ৬৯ জন ‘বাঙালি’ ও ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
নূরুল ইসলাম সেনাবাহিনীকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে বলেন, এসব তথ্য কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক কিংবা সাংবাদিকদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না ।
পাঠকের মতামত: