ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সাইবার যুদ্ধ তুঙ্গে

russiaতুঙ্গে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সাইবার যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ দিনগুলোতে এ যুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার অবকাঠামোগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনীর তৎপরতাকে বানচাল করে দিতে প্রস্তুত। গোপন ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, তাদের হাতে এসেছে ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্টস। এ ছাড়া একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও কিছু তথ্য দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইলেক্ট্রনিক গ্রিড, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও ক্রেমলিনের কমান্ড সিস্টেমের ভিতর সঙ্গোপনে প্রবেশ করেছে ওয়াশিংটন। এ ডকুমেন্টগুলো দেখেছে এনবিসি নিউজ। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন সাইবার হামলা চালানোর জন্য ভাইরাস-যুক্ত সাইবার অস্ত্র ছেড়ে দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। এই অস্ত্রকে ‘মেলওয়্যার’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এগুলো দিয়ে মূল অবকাঠামোতে আঘাত করা হবে। ফলে ভøাদিমির পুতিনের যুদ্ধংদেহী সেনা প্রস্তুতিকে পুরো নস্যাৎ করে দেয়া যাবে। পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে পুতিনের যুদ্ধ প্রস্তুতির সব মেশিন। ন্যাটোর সাবেক একজন কমান্ডার এডমিরাল জেমস স্টাভরিডিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো রাশিয়ার হামলার জবাব দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছেন, আমরা যদি দেখে বড় ধরনের সাইবার হামলা হচ্ছে তখন আমাদের তিনটি জিনিস করার আছে। প্রথমত তাদেরকে অবশ্যই পুরোধ করতে হবে। আমাদের জবাব হতে হবে যথোপযুক্ত। দ্বিতীয়ত, এ ধরনের সাইবার হামলায় কি কি ঘটতে পারে তা আগেভাগে জানিয়ে দেয়া। তৃতীয়ত, আমাদেরকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে এবং তা হতে হবে যথোপযুক্ত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়া সঙ্কটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। সমুদ্রে সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাশিয়া। সাবমেরিনে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের সেনারা। ৮ই নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করছে না এমন মন্তব্যের পর এসব সতর্কতা দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। অনলাইন ডেস্ক :::

পাঠকের মতামত: