ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

অনিয়ন্ত্রিত এন্টিবায়োটিক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক হুমকি

wwwwwনিজস্ব প্রতিবেদক::

অনিয়ন্ত্রিত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ ভয়াবহ বিপদ থেকে মানুষ ও প্রাণিজগতকে বাঁচাতে জনস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার(৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় “গ্লোবাল ওয়ান হেল্্থ ডে” উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি সম্মেলনে বক্তারা এ মত ব্যক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, সংক্রামক ব্যাধি বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, ইবোলা, নিপাহ ভাইরাস, এইচআইভি, সার্স ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। বক্তারা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ওয়ান হেল্্থ বিষয়ক সিলেবাস কারিকুলাম প্রণয়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়ান হেল্্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম মোস্তাক আহমদ, এফএও-এর কান্ট্রি টিম লিডার ড. এরিক ব্রুম।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভাসুর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও জাতিসংঘের ফুড এ- এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর ওয়ান হেল্্থ কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, বাংলাদেশের ওয়ান হেল্্থ বিষয়টি নতুন ধারনা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ওয়ান হেল্্থ বিষয়ে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ইউএসটিসি, আইসিডিডিআরবি, এফএও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সরকারের অনুমোদন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওয়ান হেল্্থ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে এ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হবে। একই সাথে উচ্চতর গবেষণাও পরিচালিত হবে।

চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ওয়ান হেল্্থ কনসেপ্ট বাস্তবায়িত হলে মানুষ ও প্রাণির জীবন আরও নিরাপদ হবে। সংক্রামক ব্যাধি থেকে মানুষ মুক্ত থাকতে পারবে। বক্তারা ওয়ান হেল্্থ বিষয়ে সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে এবং মাস্টার ডিগ্রি চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্য একদৃষ্টিতে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রাণি থেকে মানব দেহে সংক্রমনযোগ্য রোগব্যাধি প্রতিরোধ করতে এর কোনো বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন এর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. একেএম মনিরুজ্জামান মোল্লা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফারজানা ইসলাম রুমি, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলা, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক।

 

পাঠকের মতামত: