ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার

বান্দরবান প্রতিনিbandarban-ratan-pic_1ধি :

বান্দরবানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষকের চাকরী দেয়ার প্রলোবন দেখিয়ে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতারণা মামলায় ভূয়া সাংবাদিক রতন দে (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার’রাতে জেলা শহরের মেম্বারপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেসরকারী টিভি চ্যানেল মাইটিভি’র প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র নাম ভাঙ্গিয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বাসিন্দার শাহেদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়েছেন। কয়েক দফায় টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলেও দেয়নি। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার শাহেদুল ইসলাম সদর থানায় একটি মামলা করেছে। উক্ত মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভূয়া সাংবাদিক রতন দে (৩২) তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য আইন, আওয়ামীলীগের মিছিলে হামলা’সহ একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগকারী শাহেদুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি দেখিয়ে এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিজিটিং কার্ড দিয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকরী দেয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। মাইটিভি’র প্রতিনিধি পরিচয়ে আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে নগদ এবং বিকাশ একাউন্টে টাকাগুলো গ্রহণ করেছে। কিন্তু চাকরী না হওয়ায় টাকাগুলো ফেরৎ চাইলে সে কয়েক দফায় দেয়ার কথা বলেও দেয়নি। বরং মারধর করার হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

মাইটিভি চট্টগ্রাম অফিসের ব্যুরো চীফ হাসান আল মামুন ও রিপোর্টার মোহাম্মদ বাবুল বলেন, বান্দরবান জেলায় মাইটিভি’র কোনো প্রতিনিধি নেই। রতন দে নামের কাউকে তারা নিয়োগ দেননি। কেউ মাইটিভি’র পরিচয় দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, চাকরী দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়াটা অন্যায়। যারা এ ধরণের অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ’কে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, মাইটিভি’র সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারক রতন দে জেলা শহরের কালাঘাটায় পাহাড় কাটা এবং কাঠ চুরির মামলায় ম্যাজিষ্ট্রেট দেখে পুলিশ’কে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে। বালাঘাটায় রতন’সহ কয়েকজন ভূয়া সাংবাদিক’কে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আটকে রেখে ছিল। নার্সিং ইনষ্টিটিউট কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজ থেকেও চাঁদা দাবী করেছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার দাশ জানান, মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষকের চাকরী দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মামলায় রতন’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু নির্যাতন’সহ সদর থানায় আরো একাধিক মামলা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: