ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কোরবানী বাজারে দালালের দৌরাত্ব বৃদ্ধি আকাশচুম্বী দাম!

টেকনাফ প্রতিনিধি  ::
টেকনাফ কোরবানীর বাজারে দালাল ও সিন্ডিকেডের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। টেকনাফ উপজেলার সর্ব বৃহৎ গরুর হাট বসে টেকনাফ পৌর এলাকায় অবস্থিত টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে। কিন্তু কোরবানীর ঈদ বাজার সিন্ডিকেট ও দালালদের দৌরাত্বের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে মৌসুমী ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। জানাযায় টেকনাফের সাপ্তাহিক গরু বাজার ও ঈদের প্রথম বাজর ছিল ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার। সে হিসাবে ক্রেতা বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল প্রচুর। দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা প্রচুর লক্ষ্য করা গেলেও বিক্রয় ছিল অন্য বারের তুলনায় নগন্য, বাজারগুরে দেখা যায় এইসব অবস্থা। টেকনাফ বাহাররছড়ার নোয়াখালীয়া পাড়া থেকে মৌসুমী গুরু ব্যবসায়ী আব্দুল করিম জানান, সে প্রতি বছল কোরবানী বাজারে গরু বিক্রি করে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় চলিত বছরে কিছু অসাধু দালাল ও সিন্ডকেটের কারণে গরু বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে। অপরদিকে সাবরাং এলাকার জাফর আলমও একই অভিযোগ করেন। টেকনাফ সদরের মহেষখালীয়া পাড়া থেকে গরু ক্রয় করতে আসা নুরুল আমিন জানান,  তিনি একটি গরু পছন্দ হওয়ায় দাম দর করতেছে এমন সময় এক ব্যক্তি এসে তার দাম দরের চেয়ে বহুগুণ বাড়িয়ে গরুটি ক্রয় করার প্রস্তাব রাখে। তাকে দালাল বুঝতে পেরে তিনি ওখান থেকে গরু ক্রয় না করে সরিয়ে পড়ে। অনেক ক্রেতা ও দর্শকরাই এমনই অভিযোগ করেন। গরু বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে গরুর মূল্য বেশী হাঁকাচ্ছে, ফলে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। অনেকে নিজের বাজেটের সাথে মূল্য অধিক হওয়ায় কোরবানীর পশু ক্রয় না করে বাড়ীতে চলে যায় বলে জানাযায়। এদিকে আসন্ন কোরবান উপলক্ষে মিয়ানমারে বিপুল পরিমাণ গবাধীপশু আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সে দেশের একজন ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে। চলতি অর্থবছর আগষ্ট মাসে ২ হাজার ৫৪৭ টি গবাধীপশু আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ১১৬০ টি গরু, ১৩৭৫ মহিশ, ছাগল ১১টি। রাজস্ব আয় হয়েছে ১২ লাখ ৭০ হাজার ২শত টাকা। গত অর্থবছর/১৫ পশু আমদানি হয়েছিল- ২৭ হাজার ৭৭৩ টি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সচেতন ভোক্তারা অভিযোগ করেন, সীমান্ত বাণিজ্যের কতিপয় পশু ব্যবসায়ীরা পশু আমদানি কৃত্রিম সংকট এবং সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে পশু বিক্রিতে অধিক মোনাফা লাভের আশায় এ অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। এদিকে স্থানীয় বিজিব্ িপশু ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে। সভায় তারা বলেন কোরবান উপলক্ষে পশু আমদানি যাতে বৃদ্ধি পায় সে ব্যাপারে তাদের তাগিদ দেন। টেকনাফের সর্ববৃহৎ পশুবাজার পরিদর্শন করে জানা যায়, পশুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী। এর মধ্যে বড় পশুর চেয়ে ছোট পশুর দাম বেশী। ক্রেতারা মূল্য হৃাসের জন্য অপেক্ষা করছে। অনেকেই কোরবানের ১/২ দিন আগে পশু ক্রয় করার চিন্তাভাবনা করছে। শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে বিশিষ্ট পশু ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ বলি জানান- পশুর কৃত্রিম সংকঠনয় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী হৃাস পেয়েছে।

পাঠকের মতামত: