ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ জনতার

চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা 

কক্সবাজারের চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কে যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
এ অবস্থায় সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল আনুমানিক দশটার দিকে বদরখালী সেতুর উপারে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে বদরখালী সেতুর উভয় পাশে বিপুল পরিমাণ পন্যবাহি ও  যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় রোগীসহ যাত্রী সাধারণ যথাসময়ে গন্তু পৌঁছাতে গিয়ে চরম চরম দুর্ভোগে পড়ে। পরে অবশ্য চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে গতকাল বিকাল চারটার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কতিপয় চাঁদাবাজ চক্র পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে  সড়কের মহেশখালী চাল্যাতলি স্টেশনে দিবারাত্রি পণ্য ও যাত্রী বাহী গাড়ি জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছেন। এ অবস্থায় চাঁদাবাজ চক্রের অত্যাচারে স্থানীয় শ্রমিক ও যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
তাদের এ অবৈধ চাঁদাবাজি ও মনগড়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিপূর্বে মানববন্ধনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং চকরিয়া  উপজেলা ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সাময়িক বন্ধ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ চক্র
দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করে।
শ্রমিকরা বলেন, চিহ্নিত চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা  সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে আগত যাত্রীদের জিম্মি করে ব্রিজে নামিয়ে তাদের নির্ধারিত গাড়িতে করে মহেশখালী যেতে বাধ্য করে।
তাঁরা সড়কে বিভিন্ন অজুহাতে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকিয়ে অবৈধ চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। এ ঘটনায় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে উল্টো মারধরের শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। ফলে দাপটের সাথে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বদরখালী মহেশখালী সড়কে অবরোধের খবর এখনো পাইনি। কেউ সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, অবরোধের খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পাঠকের মতামত: