ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আধুনিকমানের স্কুল ভবন উপহার পেল বিএমচর খঞ্জনীঘোনার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা 

১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের বিএমচর ইউনিয়নের অবহেলিত খঞ্জনীঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ৩০ বছর পর পেয়েছেন আধুনিকমানের সুবিধা সম্বলিত নতুন স্কুল ভবন।
একইসঙ্গে উপকূলীয় জনপদে বিদ্যালয় কাম বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ায় ওই এলাকার জনসাধারণের জন্য দুর্যোগ মুহুর্তে নিরাপদ আশ্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
 দাতা সংস্থা ইউএসএইড এর ৪ কোটি টাকা অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ, সেভ দ্যা চিলড্রেন, গ্রামীন উন্নয়নসংস্থা (গ্রাউস) এর যৌথ বাস্তবায়নে
 সদ্য নির্মিত খঞ্জনীঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে নতুন বিদ্যালয় ভবনটি গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাজমুল আবেদিন চৌধুরী, ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর রিড এসলিম্যান, ইউএসএইড এর হিউম্যানিটারিয়ান এসিস্ট্যান্স অফিসের ডিরেক্টর মুস্তফা এল হামজাউই ও কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাস।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এর উপস্থিতিতে দাতা সংস্থার উধ্বতন কর্মকর্তারা চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা বিভাগের এর মাধ্যমে নবনির্মিত বিদ্যালয় ভবন আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার,  মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, খঞ্জনীঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য নাগরিকবৃন্দ, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ৷
খঞ্জনীঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩০বছর ধরে আমরা বিদ্যালয় ভবন নিয়ে সংকটে ছিলাম। পুরানো ভবনে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতেন শিক্ষকরা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
তিনি বলেন, এখন বিদ্যালয়ের নতুন ভবন পেয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলী এলাকাবাসী সবাই খুশি। অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থার পক্ষথেকে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুলব্যাগ ও খাতা কলম পেন্সিল বিতরণ করা হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: